আগামী বছর থেকে চট্টগ্রামে আয়োজিত দেশের সবচেয়ে বড় লৌক উৎসব জব্বারের বলীখেলা এবং কর্ণফুলী নদীতে অনুষ্ঠিত সাম্পান বাইচের সঙ্গে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও যুক্ত হবে বলে জানিয়েছেন উপদেষ্টা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।
আজ সোমবার (১৯ মে) চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
এ সময় তিনি জব্বারের বলীখেলা ও সাম্পান বাইচ উৎসবের প্রসঙ্গ নিয়ে উপদেষ্টা ফারুকী বলেন, ‘সাম্পান চট্টগ্রামের হার্ট। নিউইয়র্ক শহর যেমন কল্পনা করা যায় না হলুদ ট্যাক্সি ছাড়া তেমনি চট্টগ্রাম কল্পনা করা যায় না সাম্পান ছাড়া। তাই এবার আসার পেছনে প্রথমে এসব উৎসবের তালিকা করার জন্য কাজ দিয়েছি আপাতত শিল্পকলা একাডেমিকে। তারা তালিকাটা করছে। এই তালিকা হওয়ার পরে এগুলো আমাদের ক্যালেন্ডারের মধ্যে ঢুকবে এবং ঢাকা থেকে আমরা এই কাজগুলোকে ফ্যাসিলেটেইড করার চেষ্টা করবো।’

আগামী বছর থেকে জব্বারের বলীখেলা ও সাম্পান বাইচের সঙ্গে যুক্ত হবে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয় উপদেষ্টা বলেন, ‘এটা মানুষেরই আয়োজন, স্থানীয় পর্যায়ে হচ্ছে। সরকারের সাহায্যের দিকে তারা কখনো তাকায়নি। কোনো স্বীকৃতিও তারা চায়নি। তারা তাদের কাজ করছে। কিন্তু রাষ্ট্রের দায়িত্ব হচ্ছে— তার দেশের মানুষের করা গুরুত্বপূর্ণ কাজগুলো তুলে ধরা পৃথিবীর কাছে, এবং সেই কাজটা আমাদের করা উচিত। ৫৪ বছর দেরি হয়ে গেছে বাট বেটার লেট দেন নেভার। আমরা জব্বারের বলীখেলা যারা আয়োজন করেন তাদের সঙ্গে আগামী বছর থেকে সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ও যুক্ত হবে।
জব্বারের বলীখেলার পুরস্কার নিয়ে অনেক বিতর্ক আছে। এ নিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে এরই মধ্যে সংবাদও প্রকাশিত হয়েছে। আগামী বছর থেকে পুরস্কার দেয়ার ক্ষেত্রেও ভূমিকা রাখবে মন্ত্রণালয়। এ প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, এটা কয়েকটা ফর্মে কাজ করবে। পুরস্কার দেওয়ার ক্ষেত্রে, এটার কালচারাল সিগনিফিকেন্ট আরও কীভাবে এপ্লিফাই করা যায় সেটার ক্ষেত্রে। এটা আমরা উনাদের সঙ্গে অ্যাকশন প্ল্যান তৈরি করে আগাবো। জব্বারের বলীখেলা ও সাম্পান বাইচকে আমাদের কালচারাল হেরিটেজ হিসেবে আমাদের ক্যালেন্ডারে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এটা চট্টগ্রাম থেকে শুরু হলো। শুধু চট্টগ্রামে হবে তা না, সারাদেশের হবে। আমরা তালিকা করার কাজ শুরু করেছি।’
জিয়া স্মৃতি জাদুঘর প্রসঙ্গে তিনি বলেন, গত ১৬ বছর এর বাজেট যা ছিল, আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর তা দ্বিগুণ করা হয়েছে। যেহেতু জিয়া জাদুঘর, তাই এ জাদুঘরে জিয়াউর রহমানের পুরো জীবনের স্মৃতি সংরক্ষণ করা হবে। এটি সময়সাপেক্ষ বিষয়। এর জন্য জিয়াউর রহমানের জীবনী নিয়ে গবেষণা করা দরকার এবং জাদুঘরের বিষয়ে সুন্দর করে জানানোর জন্য কিউরেটর নিয়োগ করা দরকার।