চট্টগ্রাম বন্দরেরর ৬০ শতাংশ কার্যক্রম সম্পন্ন হয় নিউমুরিং কনটেইনার টার্মনালে (এনসিটি)। এটি বেশ লাভজনক অবস্থাতেই আছে। এরপরও দুবাইয়ের মালিকানাধীন ডিপি ওয়ার্ল্ডকে পরিচালনার দায়িত্ব দিতে চাচ্ছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
এদিকে, এনসিটিতে বিদেশি অপারেটর নিয়োগের সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে বন্দর ভবনের সামেন অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছে চট্টগ্রাম সুরক্ষা কমিটি। এ সময় সংগঠনটির নেতারা বলেন, দাবি না মেনে বিদেশি অপারেটরকে এনসিটি দিয়ে দিলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আজ রোববার (১৮ মে) সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত এই কর্মসূচি পালন করা হয়। এ সময় অংশগ্রহণকারীরা এনসিটিতে দেশি অপারেটর নিয়োগের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং প্ল্যাকার্ড বহন করেন।

চট্টগ্রাম সুরক্ষা কমিটির আহ্বায়ক বিপ্লব পার্থ বলেন, চট্টগ্রাম বন্দর আমাদের অর্থনীতির হৃৎপিণ্ড। নিউমুরিং কনটেইনার টার্মিনালের (এনসিটি) মাধ্যমে চট্টগ্রাম বন্দরের ৬০ শতাংশ কার্যক্রম পরিচালনা হয়। আমরা বিদেশি বিনিয়োগের বিপক্ষে নয়। তবে আমাদের যেটি লাভবান সেক্টর সেটি কেন বিদেশিদের হাতে তুলে দেব? আমাদের অনেক ক্ষেত্র রয়েছে যেখানে বিনিয়োগ প্রয়োজন। সেখানে বিদেশি বিনিয়োগ হোক। তাহলে দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়াবে।’
এ সময় বন্দর সুরক্ষা কমিটির নেতারা বলেন, বিদেশি অপারেটর নিয়োগ করা হলে দেশীয় অর্থনীতি ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং বন্দরের নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। তারা অবিলম্বে এই সিদ্ধান্ত বাতিল করে দেশীয় প্রতিষ্ঠানকে এনসিটি পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়ার দাবি জানান।
তাদের দাবি মানা না হলে, তারা আরও কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলার হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে।