চট্টগ্রামে পুলিশের সঙ্গে সুন্নিদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। অবরোধ ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ারশেল এবং সাউন্ডগ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের পক্ষে স্থানীয় পরিচয়ে কিছু তরুণ-যুবককে লাঠিসোঁটা হাতে সুন্নিদের ধাওয়া দিতে দেখা যায়। সুন্নিদের দাবি, তারা সবাই জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মী।
আজ সোমবার (৫ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে নগরের মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, একে খান, সল্টগোলা ক্রসিং, অক্সিজেনসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে পূর্বঘোষিত প্রতিবাদ কর্মসূচি শুরু করে বাংলাদেশ আহলে সুন্নাত ওয়াল জমা’আত ও ইসলামী ছাত্রসেনা। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মুরাদপুরে ধাওয়া-পালটা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সকাল ৯টা ২০ থেকে সুন্নি জনতার ব্যানারে কয়েশ মানুষ মাওলানা মুহাম্মদ রইস উদ্দিনকে হত্যার প্রতিবাদে মুরাদপুর সড়ক অবরোধ করেন। এ সময় পুলিশ গিয়ে তাদেরকে বুঝিয়ে সড়ক থেকে ফেরানোর চেষ্টা করে। কিন্তু তারা মানতে চাননি। এক পর্যায়ে পুলিশ তাদের লক্ষ্য করে টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ডগ্রেনেড নিক্ষেপ করে। এ সময় পুলিশের পক্ষ নিয়ে একদল যুবক হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে সুন্নি জনতার উপর হামলা এবং ধাওয়া দেয়। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ অন্তত ১০ জনকে আটক করে।

সামাজিক যোগযােগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ এবং হাতে লাঠিসোঁটা নিয়ে কিছু যুবক সুন্নিদের ধাওয়া দিচ্ছে। এ সময় ভিডিওতে এক যুবককে বলতে শোনা যায়, জামায়াত-শিবিরের নেতাকর্মীরা তাদের উপর হামলা চালাচ্ছে।
একজন অবরোধকারী বলেন, কোনো কিছুরই পরিবর্তন হয়নি। আগে ছাত্রলীগ হামলা চালাতো, এখন অন্যরা চালাচ্ছে। পুলিশ তখনও হাতের পুতুল এখনও পুতুল। গতকাল একজন সমন্বয়কের একটু হাত ছিঁড়ে গেছে সাথে সাথে হামলাকারীদের গ্রেফতার। আর একজন মাওলানাকে হত্যা করার এক সপ্তাহ হলো, এখনও কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলাইমান গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, সকাল ৯টা থেকে ১০০-২০০ লোক সড়ক অবরোধ করেছেন। তাদের আমরা বোঝানোর চেষ্টা করেছি। ঘণ্টাখানেক বোঝানোর পরও তারা মানেনি। তারা রোড ব্লক করবেই। পরে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নির্দেশে টিয়ারশেল ও সাউন্ডগ্রেনেড নিক্ষেপ করা হয় এবং লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়া হয়।
তিনি আরো বলেন, এ ঘটনায় আমরা ১০ জনকে আটক করেছি। সাধারণ মানুষ পুলিশের সাথে আছে। সিটিজেনস ফোরাম আমাদের সাথে আছে। তারা চায় না মানুষের দুর্ভোগ হোক।