অবশেষে চট্টগ্রামে জোড়া খুনের প্রধান আসামি হাসান বিদেশি পিস্তলসহ গ্রেফতার

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম শহরের বাকলিয়া এক্সেস রোডের মুখে প্রাইভেটকারে এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে দুই জনকে হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামি মো. হাসানকে (৩৭) গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গতকাল শুক্রবার (২ মে) দিবাগত রাত ১১টার সময় নোয়াখালীর হাতিয়ার নলের চর ভূমিহীন বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হন পুলিশ।

গ্রেফতারের পর তার স্বীকারোক্তিতে বসতঘরের ড্রেসিং টেবিলের পেছনে লুকিয়ে রাখা শপিং ব্যাগ থেকে ২টি ম্যাগাজিন, ২টি গুলি এবং ১টি বিদেশি পিস্তল জব্দ করা হয়।

গ্রেফতার মো. হাসান বায়েজিদ বোস্তামি থানার পশ্চিম শহীদ নগর সুবাহান কন্ট্রাক্টর বাড়ির মো. আলমের ছেলে।

পুলিশ জানায়, এই পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ডে ৬টি মোটরসাইকেলে ১৩ জন সন্ত্রাসী অংশ নেয়। তাদের টার্গেট ছিল বায়েজিদ বোস্তামি এলাকার তালিকাভুক্ত আরেক অপরাধী সারওয়ার হোসেন বাবলাকে হত্যা করা। তবে গাড়িতে থাকা দুইজনের মৃত্যু হলেও বাবলা শেষ পর্যন্ত রক্ষা পেয়েছেন।

এ হত্যাকাণ্ডের পেছনে দুটি উদ্দেশ্য ছিল, যার একটি বায়েজিদ বোস্তামি এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের লড়াই এবং শীর্ষ সন্ত্রাসী বুড়ির নাতি ছোট সাজ্জাদকে গ্রেফতারের প্রতিশোধ নেওয়া।

এর আগে গত ৩০ মার্চ গভীররাতে নতুন ব্রিজ এলাকার বালুমহাল থেকে প্রাইভেট কারে ছয় সঙ্গীকে নিয়ে বহদ্দার হাটের দিকে যাচ্ছিলেন পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী সারোয়ার হোসেন বাবলা। কিছুদূর গেলে কয়েকটি মোটরসাইকেলে আসা সন্ত্রাসীরা ব্রাশফায়ার করে প্রাইভেটকারটি ঝাঁঝরা করে দেয়। এতে ঘটনাস্থলে মোহাম্মদ মানিক (৩০) ও আবদুল্লাহ (৩২) নামে দুজন মারা যায়। তবে প্রাণে বেঁচে যান সারোয়ার হোসেন বাবলা।

এ ঘটনায় মানিকের মা ফিরোজা বেগম বাদী হয়ে গত ১ এপ্রিল সন্ধ্যায় কারাবন্দী শীর্ষ সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ ও তার স্ত্রীসহ ৭ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন। মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- সাজ্জাদের স্ত্রী শারমিন আক্তার তামান্না (৩৭), মোহাম্মদ হাসান (৩৭), মোবারক হোসেন ইমন (২২), খোরশেদ (৪৫), রায়হান (৩৫) ও বোরহান (২৭)।

বাকলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইখতিয়ার উদ্দিন জানান, তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে মো. হাসানকে গ্রেফতার করা হয়। পরে তার ঘরে অভিযান চালিয়ে অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন