চট্টগ্রাম শহরের চান্দগাঁও থানা এলাকার বাহির সিগন্যাল এলাকায় পুলিশের সঙ্গে ব্যাটারিচালিত রিকশা চালকদের সংঘর্ষের ঘটনায় জড়িতরা গ্রেফতার হচ্ছে।
ঘটনার দিনের ভিডিও দেখে আগেই অভিযান চালিয়ে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। আজ আরও একজনকে গ্রেফতার করা হয়।
শনিবার (২৬ এপ্রিল) সকাল ৬টার দিকে নগরের বহদ্দারহাট এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

গ্রেফতার যুবকের নাম মো. জুয়েল (২০)। তিনি কুমিল্লা জেলার দেবীদ্বার থানার রসূলপুর গ্রামের ফজলুল মেম্বারের বাড়ির মহিউদ্দিনের ছেলে।
জানা গেছে, ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার বন্ধে অভিযানে অন্তত তিন হাজার রিকশা জব্দ করেছে পুলিশ। গত বুধবার জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে নগরের কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়। এ সময় রিকশা জব্দের পাশাপাশি গ্যারেজের বিদ্যুৎ সংযোগও বিচ্ছিন্ন করে পুলিশ। প্রতিবাদে কাপ্তাই রাস্তার মাথা থেকে মিছিল নিয়ে রিকশাচালকরা বাহির সিগন্যাল এলাকার সড়ক অবরোধ করেন।
এতে আরাকান সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে দীর্ঘ যানজট দেখা দেয়। প্রায় তিন ঘণ্টা পর পুলিশ আন্দোলনকারীদের সড়ক থেকে সরিয়ে দিতে গেলে প্রথমে বাগ্বিতণ্ডা, পরে সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ সদস্যদের লক্ষ্য করে ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন চালকরা। বিপরীতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল ছুড়লে, টিকতে না পেরে অলিগলিতে অবস্থান নেন চালকরা। সেখান থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত কয়েক দফা পুলিশের সঙ্গে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয় চালকদের। এক পর্যায়ে সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণ নেন। পরে কাপ্তাই রাস্তার মাথা এলাকায় অভিযান চালিয়ে পুলিশ অটোরিকশার পাঁচ চালককে আটক করে। এরপর আরও কয়েকটি গ্যারেজে অভিযান চালানো হয়।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, সংঘর্ষের ঘটনায় সেদিন পাঁচজন পুলিশ আহত হয়েছিলেন। পরে এ ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে থানায় একটি মামলা রুজু হয়। ওই মামলায় জুয়েলকে গ্রেফতার দেখানো হয়েছে।