২২শে এপ্রিল, ২০২৫

চট্টগ্রামে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান ঘিরে থাকবে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা

শেয়ার করুন

চট্টগ্রামে বাংলা নববর্ষ ১৪৩২ উদযাপনে শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি চলছে। বর্ষবরণ উপলক্ষে নগরীর তিনটি ভেন্যু—ডিসি হিল, সিআরবি শিরীষতলা ও চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমিতে অনুষ্ঠিত হবে নানা আয়োজনে ভরপুর নববর্ষের অনুষ্ঠান। এসব আয়োজনে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) চারস্তরের নিরাপত্তা বলয় গড়ে তুলেছে।

রবিবার (১৩ এপ্রিল) সকালে নগরের বাদশা মিয়া সড়কে গিয়ে দেখা গেছে, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখের শোভাযাত্রার জন্য তৈরি করছেন বর্ণিল প্রতিকৃতি। এসব প্রতিকৃতির মধ্যে রয়েছে মাছ, ঘোড়া ও মোরগের প্রতিকৃতি। চলছে শেষ মুহূর্তের রঙের আঁচড়।

জানা গেছে, প্রতিবছরের মতো এবারও ডিসি হিলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান আয়োজনের অনুমোদন দেওয়া হয় গত ১০ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের এক সভায়। সকাল সাড়ে ছয়টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত চলবে এ আয়োজন। অনুষ্ঠানে অংশ নেবে ৫০টির বেশি সাংস্কৃতিক সংগঠন।

এদিকে, সিআরবি শিরীষতলায় নববর্ষ উদযাপন পরিষদের উদ্যোগে আজ বিকেল সাড়ে ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হচ্ছে বর্ষবিদায় অনুষ্ঠান। আগামীকাল পহেলা বৈশাখে সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত চলবে বর্ষবরণ আয়োজন।

অন্যদিকে, চট্টগ্রাম শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে বর্ষবরণ অনুষ্ঠান তত্ত্বাবধান করবে জেলা প্রশাসন।

বরাবরের মতো এবারও চারুকলা ইনস্টিটিউটের সামনে থেকে সকাল ৯টায় বের হবে মঙ্গল শোভাযাত্রা। এটি চট্টেশ্বরী মোড়, আলমাস মোড়, কাজীর দেউড়ি মোড়, এস.এস. খালেদ রোড, প্রেস ক্লাব ইউটার্ন হয়ে চারুকলায় ফিরে আসবে। সন্ধ্যায় চারুকলার মুক্তমঞ্চে অনুষ্ঠিত হবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।

চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (মিডিয়া) মাহমুদা বেগম বলেন, “নববর্ষের অনুষ্ঠানগুলোকে ঘিরে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয়েছে। ডিসি হিল, সিআরবি ও শিল্পকলা একাডেমিতে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। অনুষ্ঠানস্থল ও আশপাশের এলাকায় সাদা পোশাক ও ইউনিফর্মে পুলিশ, সোয়াট ইউনিট, ডগ স্কোয়াড ও র‌্যাব সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন।”

তিনি আরও জানান, সিআরবিতে একটি কন্ট্রোল রুম থাকবে, যেখানে যেকোনো সমস্যা জানানো যাবে। এছাড়া নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শহরের বিভিন্ন পয়েন্টে রোড ডাইভারশন ও যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করা হবে।

চট্টগ্রাম জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (মিডিয়া) মো. রাসেল জানান, “সকল থানা এলাকায় বর্ষবরণের অনুষ্ঠানকে ঘিরে বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।”

বর্ষবরণ পরিষদের এক সদস্য বলেন, “বৈশাখ আমাদের প্রাণের উৎসব। প্রশাসনের সহায়তায় আমরা চেষ্টা করছি সীমিত সময়ের মধ্যেও আয়োজনে প্রাণ ফেরাতে।”

উল্লেখ্য, ১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শুরু হয় বর্ষবরণ উৎসব ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে। পরে ১৯৯৫ সালে এর নাম হয় ‘মঙ্গল শোভাযাত্রা’। এবার নতুন করে এর নাম দেওয়া হয়েছে ‘বর্ষবরণ আনন্দ শোভাযাত্রা’।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন