চট্টগ্রামে গাজায় ইসরায়েলি গণহত্যাবিরোধী বিক্ষোভ থেকে কেএফসি রেস্টুরেন্ট, বাটা শোরুম এবং বিভিন্ন দোকানপাটে হামলা, ভাংচুর এবং লুটপাটের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেফতার করেছে নগর পুলিশ। নগরের চার থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে।
বুধবার (৯ এপ্রিল) নগর পুলিশের গণমাধ্যম শাখা থেকে পৃথক দুটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, গত সোমবার সন্ধ্যায় আনুমানিক ৬০০-৭০০ জনের একটি মিছিল নগরের জামালখান থেকে চকবাজারের দিকে যাওয়ার পথে কলেজ রোডসহ আশপাশের এলাকায় কয়েকটি রেস্তোরাঁয় ভাঙচুর চালায়। মিছিলকারীরা রেস্তোরাঁ থেকে কোকাকোলা ও পেপসির বোতল বের করে রাস্তায় প্রকাশ্যে ভাঙচুর করে। এ ঘটনায় চকবাজার থানা পুলিশ ১৭ বছরের এক কিশোরকে গ্রেফতার করা হয়। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা করেছে।

অন্যদিকে, একই ঘটনায় গতকাল (মঙ্গলবার) পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালী থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করে। একইদিন রাতে থানার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তারা হলেন— জাহেদ হোসেন অপু (২৮), গোবিন্দ দত্ত (২৫) ও আব্দুল্লাহ আল মারুফ (২১)। এরমধ্যে আবদুল্লাহ আল মারুফ জহুর হকার্স মার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী বলে জানিয়েছে পুলিশ।
খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব হোসেন বুধবার বিকেলে জানিয়েছেন, খুলশীর বিভিন্ন স্থানে ওইদিন মিছিল থেকে ভাঙচুরের ঘটনায় মঙ্গলবার রাতে পুলিশ বাদী হয়ে একটি মামলা দায়েরে করেছে। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত চারজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জড়িত বাকিদের গ্রেফতারে অভিযান চলমান আছে।
পাঁচলাইশ থানার জিইসি এলাকায় একাধিক রেস্তোরাঁ ও হোটেলে গত সোমবার ইসরায়েলবিরোধী মিছিল থেকে ভাঙচুর করা হয়েছিল। এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলেও এখন পর্যন্ত কেউ গ্রেফতার নেই বলে জানিয়েছেন নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (জনসংযোগ) মাহমুদা বেগম)।