বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে চট্টগ্রামের বহদ্দারহাট এলাকায় সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং শিক্ষামন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের গুলিতে আহত হয় মো. ইয়াস শরীফ খান (১৬) নামের এক স্কুলছাত্র। সে ঘটনায় ৫২ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২৫০ থেকে ৩০০ জনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেছে সেই ছাত্রের বাবা।
বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন আহত শিক্ষার্থীর বাবা ব্যবসায়ী মো. এজাজ খান।
মো. এজাজ খান বন্দর থানাধীন আনন্দবাজার জাফরখান পাড়া এলাকার জবু টেন্ডল বাড়ির বাসিন্দা।

মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন, সাবেক সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু, এমএ লতিফ, যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর।
বাদী অভিযোগ করেন, গত বছরের ১৮ জুলাই বিকেল ৪টা ২০ মিনিটের দিকে চান্দগাঁও থানাধীন বহদ্দারহাট মোড়ে আসামি নওফেলসহ অন্যান্যরা অস্ত্রসজ্জিত হয়ে গুলি করে বাদীর ছেলে ইয়াস শরীফকে। এতে ইয়াস গুরুতর জখম হয়। বর্তমানে সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন।
চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আফতাব উদ্দিন জানান, হত্যাচেষ্টা ও বিস্ফোরক আইনে সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীসহ ৫২ জনের নামে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। মামলায় বাদী জুলাই আন্দোলনে তার ছেলের ওপর গুলি চালানোর অভিযোগ এনেছেন। মামলাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।