১৩ই মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রামে স্ত্রীর সঙ্গে বন্ধুর পরকীয়া সন্দেহে ছুরিকাঘাতে খুন, তিন ঘণ্টায় ধরা

শেয়ার করুন

সাগর ও সাইমন চট্টগ্রাম শহরের ইপিজেড এলাকার বাসিন্দা এবং বন্ধু। দুজনই বেকার। সাগরের সঙ্গে তার স্ত্রীর পরকীয়া সম্পর্ক আছে, এমন সন্দেহ দীর্ঘদিনের। এই সন্দেহের বশবর্তী হয়ে সাগরকে খুনের পরিকল্পনা করে সম্প্রতি। পরিকল্পনা মোতাবেক আরো এক বন্ধুকে সঙ্গে নিয়ে সাগরকে সিডিএ বালুর মাঠ এলাকায় নিয়ে ছুরিকাঘাত করে মৃত্যু নিশ্চিতের পর পালিয়ে যায়। ঘটনাটি সম্পর্কে পুলিশ জানার পর মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যে অনেকটা ক্লুলেস হত্যাকাণ্ডের রহস্য উম্মোচন করে।

মঙ্গলবার (১১ মার্চ) রাতে নগরের ইপিজেড থানার দক্ষিণ হালিশহর এলাকার সিডিএ বালুর মাঠে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত মো. সিজান (২৫) নামের এক যুবক আটক হয়। তবে, মূল পরিকল্পনাকারী সাইমন পলাতক।

নিহতের নাম মোহাম্মদ আইয়ুব নবী প্রকাশ সাগর (২৬)। তিনি একই থানাধীন আকমল আলী সড়কে ভাড়া বাসায় স্ত্রীসহ বসবাস করতেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার পুঁইছড়ি গ্রামে।

আটক মো. সিজান (২৫) ইপিজেড থানার সিমেন্ট ক্রসিং এলাকার রানী ভবনের গলির টেন্ডলের বাড়ির মৃত আলমগীরের ছেলে। তিনি হোটেলে কারিগর হিসেবে কাজ করলেও সম্প্রতি বেকার ছিলেন।

নগর পুলিশের বন্দর জোনের সহকারী কমিশনার মাহমুদুল হাসান গণমাধ্যমকে বলেন, এই হত্যাকাণ্ড সম্পূর্ণ ক্লুলেস ছিল। সোর্স কাজে লাগিয়ে আমরা ভিকটিমের স্ত্রীর কাছে যাই এবং তার পরিচয় নিশ্চিত হই। ঘটনার তিন ঘণ্টার মধ্যেই আমরা সিজানকে আটক করি। ভিকটিমের শরীরের বিভিন্ন জায়গায় চারটি ছুরিকাঘাত করা হয়েছে। আমরা ছুরিটি জব্দ করেছি।

তিনি বলেন, সিজানকে জিজ্ঞাসাবাদ করে প্রাথমিকভাবে আমরা জানতে পেরেছি সাইমনের স্ত্রীর সঙ্গে ভিকটিম সাগরের পরকীয়ার সম্পর্ক রয়েছে—এমন সন্দেহের জেরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ভিকটিমের স্ত্রীকেও আমরা জিজ্ঞাসাবাদ করেছি। তবে তিনি দাবি করেছেন, তার স্বামী পরকীয়ায় জড়িত নন। তবুও এটি আমরা তদন্ত করে দেখবো

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন