চট্টগ্রাম শহরের জলাবদ্ধতা একটা অন্যতম সমস্যা। প্রতিবছর বর্ষায় একাধিকবার পানির নিচে তলিয়ে যায় চট্টগ্রাম শহরের অধিকাংশ এলাকা। আর এই সমস্যা সমাধানে চার জন্য উপদেষ্টাকে দায়িত্ব দিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জানা গেছে, প্রতি সপ্তাহে চার উপদেষ্টার যেকোনো একজন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের অগ্রগতি দেখতে চট্টগ্রামে আসবেন।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে চট্টগ্রাম নগরের জলাবদ্ধতা নিরসনকল্পে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বীর প্রতীক।

উপদেষ্টা ফারুক ই আজম বলেছেন, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের ফিরিস্তি নিতে নয়; সীমাবদ্ধতাগুলোকে চিহ্নিত করতেই উপদেষ্টারা আসবেন।
তিনি আরো বলেন, চট্টগ্রামে জলাবদ্ধতা নিরসনে দায়িত্বপ্রাপ্ত চার উপদেষ্টা এবং স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করছে। যাতে আগামী বর্ষায় চট্টগ্রামের জনগণ যেন এটার সুফল পায়। এটার পরিপূর্ণ সুফল হয়তো পাবে না। কিন্তু কাজ যখন শুরু হয়েছে, ধারাবাহিকতায় এই জলাবদ্ধতা নিরসন হবে বলে আমি আশাবাদি।
বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, সরকারের প্রায় ৫৮ হাজার কোটি টাকা বাজেট ঘাটতি রয়েছে। এটা নানান দিক থেকে বিভিন্নভাবে আমাদের ম্যানেজ করতে হচ্ছে। বাজেট স্বল্পতা থাকলেও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্প সরকারের অগ্রাধিকার। তাই প্রতি সপ্তাহে উপদেষ্টা পরিষদের কোনো না কোনো একজন চট্টগ্রাম আসবেন জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি দেখতে। আপনাদের কাজের ফিরিস্তি নেয়ার জন্য নয়, আমরা যাতে সীমাবদ্ধতাগুলোকে চিহ্নিত করতে পারি। সেগুলো যেন দ্রুত সময়ে সমাধান করতে পারি সেজন্যই আসা। এ ধারা অব্যাহত থাকলে ধীরে ধীরে আমরা জনসম্পৃক্ততা ও সফলতা পাব।
ভোগান্তি কমাতে প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট সংস্থাসমূহকে সমন্বয় করে কাজ করার নির্দেশ দিয়ে উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, যত্রতত্র আবর্জনা না ফেলতে নগরবাসীকে সচেতন করতে হবে। কিন্তু এরপরও সচেতন না হলে পরবর্তীতে জরিমানা ও শাস্তি দেয়া যায় কিনা; সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট দপ্তরগুলোকে ভেবে দেখতে হবে।
মতবিনিময় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক ফরিদা খানম, চসিকের প্রধান নির্বাহী শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, চট্টগ্রাম বিশ্বব্যিালয়ের প্রাণী বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মঞ্জুরুল কিবরিয়াসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা।
