সাভার উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মঞ্জুরুল আলম রাজিব এবং যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল আলমের বাড়ি ভাঙচুরের চেষ্টা চালানোর সময় স্থানীয়দের ধাওয়ার মুখে পালিয়েছেন বৈষম্যবিরোধীরা। এ ঘটনায় কয়েকজনকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা সোয়া ৬টার দিকে হেমায়েতপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে তারা আত্মগোপনে আছেন।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সন্ধ্যায় ২৫-৩০ জন বিক্ষুব্ধ লোকজন লাঠিসোঁটা হাতে মঞ্জুরুল আলম রাজিবের বাসভবনের সামনে জড়ো হন। তারা গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে ভাঙচুর শুরু করেন। এর কয়েক মিনিটের মধ্যে শতাধিক স্থানীয় বাসিন্দা জড়ো হয়ে প্রতিবাদ জানান এবং বিক্ষুব্ধদের ধাওয়া দেন। স্থানীয়দের তোপের মুখে তারা পালিয়ে যান।
বৈষম্যবিরোধীদের একজন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কর্মসূচি ছিল সাভারে আওয়ামী লীগের কোনো দোসর থাকবে না, কোনো আস্তানা থাকবে না। সেই লক্ষ্যে ৭০-৮০ জন ছাত্র-জনতা রাজিবের বাড়ির সামনে গিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান করছিল। এ সময় রাজিব-সমরের দোসররা আমাদের ওপর হামলা চালায়। আমরা জানতাম না তারা সেখানে অবস্থান করছে। হামলায় আমাদের কয়েকজন আহত হয়েছে।
স্থানীয় বাসিন্দা আনোয়ার হোসেন বলেন, তারা [দুই ভাই] তো বাড়িতে নেই, তাহলে ভাঙচুর কেন? আগুন দিলে আশপাশের বাড়িঘরেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। আমরা বুঝিয়ে বলার পরও তারা না শুনলে ধাওয়া দিয়ে সরিয়ে দিই।