১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

গণঅভ্যুত্থানে শহীদ ওয়াসিমের নামে চট্টগ্রামে উড়ালসড়ক, মহিউদ্দীন চৌধুরীর নাম বাদ

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের নামকরণ করা হয়েছে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ওয়াসিম আকরামের নামে। এর আগে এটির নামকরণ করা হয়েছিল সাবেক সিটি মেয়র প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে।

২০২৩ সালের ১৪ নভেম্বর প্রকল্পটির উদ্বোধন করেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তবে এটি দিয়ে পুরোপুরি যান চলাচল শুরু হয়নি। এখন প্রকল্পের কাজ পুরোপুরি শেষ হওয়ায় আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হবে টোল আদায়।

শুক্রবার (৩ ডিসেম্বর) এক্সপ্রেসওয়ের পতেঙ্গা প্রান্তে টোল আদায়ের কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।

চট্টগ্রাম এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্প পরিচালক প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান বলেন, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় থেকে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের পুনরায় নামকরণ করা হয়েছে। শুক্রবার থেকে এটিতে টোল আদায় করা হবে।

প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ) জানায়, এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে ১০ ধরনের গাড়ি চলাচল করতে পারবে। তবে মোটরসাইকেল ও ট্রেইলর ওঠানামার সুযোগ রাখা হয়নি। এটি ব্যবহারে সিএনজিচালিত অটোরিকশাকে ৩০ টাকা, কারজাতীয় গাড়ি ৮০ টাকা, জিপ ও মাইক্রোবাস ১০০ টাকা, পিকআপ ভ্যান ১৫০ টাকা, মিনিবাস ও ট্রাক (চার চাকা) ২০০ টাকা এবং বাসকে ২৮০ টাকা দিতে হবে। এছাড়া ট্রাক (৬ চাকা) ৩০০ টাকা এবং কাভার্ডভ্যানকে ৪৫০ টাকা টোল দিতে হবে।

নগরের লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে যাতায়াত নির্বিঘ্ন করতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সিডিএ। ২০১৭ সালের ১১ জুলাই একনেক সভায় তিন হাজার ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ টাকার সাড়ে ১৬ কিলোমিটার দৈর্ঘ্যের এক্সপ্রেসওয়ে প্রকল্পটির অনুমোদন দেওয়া হয়। ২০১৮ সালে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের কাজ শুরু হয়। এরপর ২০২৩ সালের ২৪ আগস্ট সিডিএর ৪৫৮তম বোর্ড সভায় এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়টির নামকরণ হয় এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর নামে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন