২৮শে মার্চ, ২০২৫

সীতাকুণ্ডে যুবদল নেতাকে পিটিয়ে আহত করল আওয়ামী লীগ

শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এক যুবদল নেতাকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে। আহত সেই যুবদল নেতার নাম মাসুদ খন্দকার। তিনি বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড যুবদলের সভাপতি।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় উপজেলার উত্তর বাঁশবাড়িয়া খোরশেদ সদ্দারের বাড়ির সামনে এ ঘটনা ঘটে।

ভুক্তভোগীদের অভিযোগ- তাকে আহত করেছে আওয়ামী লীগের কাশেম বাহিনীর প্রধান মো. আবুল কাসেম ও তার বাহিনীর সদস্যরা।

আহত যুবদলের সভাপতি মাসুদ খন্দকারের স্ত্রী নিলুপা ইয়াসমিন জানান, রাত ৮টার দিকে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাসায় ফেরার পথে কসেম বাহিনীর প্রধান কাশেম দলবল নিয়ে তার স্বামীর উপর আকস্মিক হামলা চালায়। মাসুদের চিৎকারে আশপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তাদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। এসময় স্থানীয়রা তাদের উপর চড়াও হলে তারা পালিয়ে যায়। চিকিৎসার জন্য এখনও মামলা করতে পারিনি।

আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম মেডিকেল চিকিৎসাধীন মাসুদ বলেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগের পতনের পর কাশেম বিএনপি, ছাত্রনেতাসহ আমার নাম বলে গালিগালাজ করে। এরপর বিষয়টি তার পরিবারকে জানালে তার ভাই জাহাঙ্গীর বলেছেন, কাশেম এমন আচরণ আর করবেন না। পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে শাসানো হয়েছে। এরপর হঠাৎ করে গতকাল আমার উপর হামলা করে কাশেম বাহিনী।

তিনি বলেন, কাশেম আওয়ামী লীগ করেন। তার নামে হত্যা মামলাসহ দুটি মামলা রয়েছে। রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর থেকে আত্মগোপনে রয়েছেন তিনি। আকস্মিক এলাকায় ঢুকে বিএনপির বিভিন্ন নেতাকর্মীদের উপর গুপ্ত হামলা চালিয়ে পালিয়ে যায়। সীতাকুণ্ডে ৯৭-৯৮ সালের দিকে বিএনপি নেতা মুন্সি মিয়াকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনা সীতাকুণ্ড থানায় একটি হত্যা মামলা হয়। মামলায় প্রধান আসামি করা হয় কাশেমকে।

সীতাকুণ্ড থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুজিবুর জানান, ভুক্তভোগী পরিবারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো মামলা করা হয়নি। তবে আহত মাসুদের পরিবারের লোকজন থানায় এসে মামলা করবেন বলে জানিয়েছেন। মামলা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন