জুলাই আন্দোলনের সময় বিদ্যুৎ থাকার পরও সড়কবাতি নিভিয়ে ছাত্র-জনতার ওপর হামলায় সহযোগিতা করায় অভিযুক্ত প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসকে অপসারণ করেছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। তবে, নিয়ম অনুযায়ী তিনি ৯০ দিনের বেতন পাবেন।
গত রোববার (১৫ ডিসেম্বর) চসিক মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
অফিস আদেশে বলা হয়েছে, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের বিদ্যুৎ উপ-বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী (সাময়িক বরখাস্ত) ঝুলন কুমার দাশকে সিটি কর্পোরেশন কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০১৯, এর ৬৪(২) ধারার প্রদত্ত ক্ষমতাবলে জনস্বার্থে চাকরি থেকে অপসারণ করা হলো। তিনি বিধি মোতাবেক ৯০ দিনের বেতন নগদে প্রাপ্য হবেন। এ আদেশ ১৫ ডিসেম্বর থেকেই কার্যকর হবে।

এদিকে, চসিকের প্রধান নির্বাহনী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম বর্তমানে কোরিয়ায় অবস্থান করায় ঝুলন কুমার দাসকে অপসারণের বিষয়টি সত্য কিনা তা জানা সম্ভব হয়নি।
যদিও চসিকের একাধিক সূত্রে জানা গেছে, প্রকৌশলী ঝুলন কুমার দাসকে ১৫ ডিসেম্বর চসিক থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
গত ১৫ অক্টোবর চসিকের প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা কমান্ডার লতিফুল হক কাজমীর নেতৃত্বে গঠিত তিন সদস্যের কমিটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। প্রতিবেদনে সড়কবাতিকাণ্ডে ঝুলন দাশেরই দায়ভার আছে উল্লেখ করে তিনটি সুপারিশ করা হয়।
তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী, বাতি নেভানোর নির্দেশ দেওয়ার প্রমাণ না পেলেও সড়কবাতি বন্ধের সময়ে বিদ্যুৎ থাকার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পিডিবি। যেহেতু বিদ্যুৎ থাকার পরও সড়কবাতি বন্ধ ছিল, সেহেতু এটি ‘গাফিলতি’। এছাড়া আরো একটি প্রকল্পের সড়কবাতিও বন্ধ ছিল। যেগুলো ঠিকাদারদের চসিককে হস্তান্তর করার কথা ছিল। তাও ঝুলন দাশ বুঝে নেননি। এসব দিক আমলে নিয়ে তদন্ত কমিটি মনে করছে পুরো ঘটনায় প্রকৌশলী ঝুলন দাশের দায়ভার রয়েছে।