চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ। বায়েজিদের একটি বাসায় লুকিয়ে বসে আছে, এমন খবর পেয়ে অভিযান চালায় চান্দগাঁও থানা পুলিশ। কিন্তু পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ফিল্মিস্টাইলে গুলি ছুঁড়তে ছুঁড়তে এক ভবন থেকে অন্য ভবনে লাফিয়ে পড়ে পালিয়ে গেল সে। সাজ্জাদ পালিয়ে গেলেও তার স্ত্রী পরিচয় দেওয়া একজনকে আটক করেছে পুলিশ।
আজ বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) ভোরে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানার অক্সিজেন মোড় এলাকার জালালাবাদ পেট্রোল পাম্পের পেছনে একটি সাততলা ভবনের পঞ্চম তলায় এ অভিযান চালানো হয়।
আহত দুই পুলিশ সদস্য হলেন- চান্দগাঁও থানার এএসআই ফাইয়াছ হাসমিনুর রোবেল ও রাজু আহমেদ। তারা দামপাড়া পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। অপর দুজন হলেন কাজল কান্তি দে ও মোহাম্মদ জাবেদ। সাজ্জাদের ছোঁড়া গুলিতে তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। এর মধ্যে কাজল কান্তি দে অক্সিজেন মোড়ের একটি ব্যাংকের এটিএম বুথের সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে কর্মরত। দুজন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
পুলিশ জানায়, সাজ্জাদের অবস্থান জানতে পেরে রাত সাড়ে ৩টা থেকে ভোর ৪টার দিকে বাসাটিতে অভিযান চালানো হয়। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে তাদের লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়তে থাকেন সাজ্জাদ। একপর্যায়ে পাশের একটি ভবনের ছাদে লাফ দিয়ে পালিয়ে যান তিনি। এ সময় স্থানীয় দুজন গুলিবিদ্ধ হন।

নগর পুলিশের ডিসি (অপরাধ) রইস উদ্দিন বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ত্রাসী সাজ্জাদকে ধরতে অভিযানে যায় পুলিশ। এ সময় পুলিশকে লক্ষ্য করে সাজ্জাদ গুলি ছুঁড়লে স্থানীয় দুজনসহ মোট চারজন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্য। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঘটনাস্থল থেকে সাজ্জাদের স্ত্রী পরিচয় দেওয়া এক নারীকে আটক করা হয়েছে।
এর আগে, গত ২১ অক্টোবর বিকেলে চান্দগাঁও থানার অদূরপাড়া জাগরণী সংঘ ক্লাব সংলগ্ন একটি চায়ের দোকানে ফিল্মিস্টাইলে মাইক্রোবাস থেকে নেমেই আফতাব উদ্দিন তাহসীন নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করেন সাজ্জাদ ও তার সহযোগীরা। ঐ ঘটনায় পরদিন ২২ অক্টোবর সাজ্জাদসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চান্দগাঁও থানায় মামলা করেন নিহতের বাবা।
সাজ্জাদ হাটহাজারী উপজেলার শিকারপুর এলাকার মোহাম্মদ জামালের ছেলে। তিনি বিদেশে পলাতক সাজ্জাদ আলী খানের সহযোগী। তার বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অভিযোগে ১০টির বেশি মামলা রয়েছে। গত ১৭ জুলাই অস্ত্রসহ সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। পরের মাসে তিনি জামিনে বেরিয়ে আসেন।