সৌদি আরবের জেদ্দা থেকে চট্টগ্রামে আসছিল বিমান বাংলাদেশের বিজি-১৩৬ ফ্লাইট। মাঝ পথে হঠাৎ শিশুসহ এক নারী যাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে পাকিস্তানের করাচি আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে জরুরি অবতরণ করে। পরে করাচি বিমানবন্দরে অসুস্থ দু’জনকে নামিয়ে দিয়ে দুপুর একটার সময় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করে ফ্লাইটটি।
গুরুত্ব দিয়ে বিমান অবতরণ করতে সাহায্য ও তাৎক্ষণিক রোগীর চিকিৎসার ব্যবস্থা করায় বেশ প্রশংসা করে পাকিস্তান সরকার এবং এয়াপোর্ট কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন বিমানটির যাত্রীরা।
আজ বুধবার (৪ ডিসেম্বর) বিষয়টি নিশ্চি করে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা প্রকৌশলী মোহাম্মদ ইব্রাহীম খলিল গণমাধ্যমকে বলেন, উড়োজাহাজটি আজ সকাল নয়টায় চট্টগ্রাম বিমানবন্দরে অবতরণ করার কথা ছিল। যাত্রী অসুস্থ হওয়ায় প্রায় চার ঘণ্টা দেরি হয়েছে। করাচিতে নেমে যাওয়া ওই যাত্রী দুজনের গন্তব্য ছিল ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর।

জেদ্দা থেকে ছেড়ে আসা ফ্লাইটটিতে ছিলেন চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বাসিন্দা এজিএম টুটুল। ফেসবুকে তার অভিজ্ঞতা জানিয়ে একটি পোস্ট করেন। দুই রোগীর চিকিৎসায় করাচি বিমানবন্দরের তাৎক্ষণিক চিকিৎসা ব্যবস্থা করায় কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানান।
পোস্টের শুরুতে জরুরি অবতরণের কারণ জানিয়ে লেখেন, ‘জেদ্দা থেকে চট্টগ্রাম আসছিলাম বিমান বাংলাদেশে। আমাদের ফ্লাইটের দুজন যাত্রী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে জরুরি ভিত্তিতে করাচি বিমানবন্দরে অবতরণ করে।’
এরপর করাচি বিমাবন্দর কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানিয়ে লেখেন, ‘আমাদের বিমানটি অবতরণ করার আগেই কর্তৃপক্ষ মেডিকেল টিম নিয়ে প্রস্তুত ছিল। গভীর রাতেও বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের উচ্চ পর্যায়ের কর্মকর্তারা স্বশরীরে উপস্থিত হয়েছেন। আমাদের ফ্লাইটটি কোন অসুবিধা ছাড়া অবতরণ করার জন্য অন্য ফ্লাইটগুলোকে ডিলে করেন।’
অসুস্থ নারীর চিকিৎসা ব্যবস্থা করার বিষয়ে তিনি লেখেন, ‘রোগী একজন অসুস্থ ভদ্র মহিলা, সাথে ৪/৫ বছরের একটি শিশু। ফ্লাইটে ওনার অ্যাবরশন হয়ে প্রচুর ব্লিডিং হয়ে রক্ত শূন্যতা দেখা দেয়। ফলে পাকিস্তানের চিকিৎসকরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যান। রোগী প্রথমে ভয় পেলেও সৌদি আরবে থাকা প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন চিকিৎসকরা।’
শেষে তিনি লেখেন, ‘পাকিস্তানকে আমরা বিভিন্ন কারণে পছন্দ করতাম না। আজকে তাদের এই সহানুভূতি আমাকে তাদের ব্যাপারে নতুন করে ভাবাচ্ছে।’
