১৫ই মার্চ, ২০২৫

দিদারুল আলমসহ তিন বিএনপি নেতাকে সওজের নোটিশ

সওজের জায়গা দখল করে বালু মহাল বানাচ্ছে বিএনপি নেতা দিদারুল আলম মিয়াজি

শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের জোরারগঞ্জ থানা এলাকার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের (এন-১) ১৬৬ ও ১৬৭তম কিলোমিটারের ৭ একর জায়গা ও জলাশয় দখল করে বালি ভরাট করে বালু মহাল তৈরির চেষ্টা করছেন পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজি। সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) বারবার মৌখিকভাবে নিষেধাজ্ঞা দিলেও দিদারুল আলম মিয়াজি ও তার লোকজন বাধা উপেক্ষা করে দখলদারিত্ব চালিয়ে যান। শেষ পর্যন্ত অনেকটা বাধ্য হয়েই সওজ দিদারুল আলম মিয়াজিসহ তিন বিএনপি নেতাকে দখলদারিত্ব ছাড়ার জন্য নোটিশ ইস্যু করেছে।

গত মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) বারৈয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজিসহ ৩ জন বিএনপি নেতার নাম উল্লেখ করে নোটিশটি ইস্যু করা হয়। অন্য বিএনপি নেতারা হলেন- অন্য বিএনপি নেতারা হলেন- মো. হাসানুজ্জামান সানি ও ইফতেখার উদ্দিন জিপসান।

নোটিশে সওজ আরও উল্লেখ করেন, সরকারি জলাশয়ের পানি অপসারণ করে সেখানে বালি ভরাটের পক্রিয়া চলমান রেখেছেন যাহা মহাসড়ক আইন ২০২১ এর ধারা ৯(১১), (১২), (১৪), (১৫), (১৬), এবং ধারা (৭), (৯), (১০) অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। এমতা অবস্থায় আগামী ৭ দিনের মধ্যে সরকারি ভূমি ও জলাশয়ে বালি ভরাটের কাজ বন্ধ করে ব্যবহৃত কাজের সামগ্রী অতি দ্রুত সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দেয়া গেল। অন্যথায় আপনাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বুধবার সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সওজ এর একটি জলাশয়ে একদিকে পানি নিষ্কাশন চলছে অন্যদিকে বালি ভরাটের জন্য পাইপ স্থাপনের কাজ চলছে। কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের জিজ্ঞাসা করা হলে তারা এই প্রতিবেদককে জানায়, বারৈয়ারহাট পৌর বিএনপির আহ্বায়ক দিদারুল আলম মিয়াজীর বেতনভুক্ত শ্রমিক। দিদারুল আলম মিয়াজি ও তার ভাই ভুট্টুর নির্দেশনায় তারা পানি নিষ্কাশন ও পাইপ স্থাপনের কাজ করছে।

দিদারুল আলম মিয়াজীর কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি এসবের সাথে জড়িত নই। আমার নাম বিক্রি করে অন্যকেউ এসব করছে। আমি এসব কোন কিছুতেই নাই।

সড়ক ও জনপথ বিভাগের সীতাকুণ্ড উপ-প্রকৌশলী মো. ফারহান বলেন, ৫ আগস্টের পর বেশ কিছু দিন ধরে ঢাকা চট্টগ্রাম মহাসড়কের বারৈয়ারহাট পৌর বাজারের উত্তর পাশে ধুমঘাট স্কুলের রাস্তার মুখে সওজ এর ৭ একরের একটি জলাশয় অবৈধ ভাবে দখল করে একটি অসাধু চক্র। চক্রটিকে মৌখিকভাবে সওজ এর পক্ষ থেকে বারবার বারণ করা হলেও তারা তা কর্ণপাত করে নাই। তাই তাদেরকে লিখিত নোটিশ করা হয়েছে সাথে সাথে ৭ দিন সময় নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে অবৈধ সরঞ্জাম সরিয়ে নেয়ার জন্য। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে অবৈধ দখল ছেড়ে দিয়ে সরঞ্জাম না সরালে সওজ আইনি পদক্ষেপ নিতে বাধ্য থাকবে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন