সেন্টমার্টিনে যেতে পর্যটকদের জন্য মাধ্যতামূলক ট্রাভেল পাস জটিলতায় পর্যটক খুঁজে পাচ্ছে না পর্যটকবাহী জাহাজ। টানা ৯ মাস বন্ধ থাকার পর আগামীকাল ১ ডিসেম্বর থেকে জাহাজ চলাচর শুরু হচ্ছে বলা হলেও পর্যটকের খরায় তা অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। কেননা গতকাল শুক্রবার রাত ৮টা পর্যন্ত কেয়ারী সিন্দাবাজে টিকিট বিক্রি হয়েছে মাত্র ৯টি।
অভিযোগ রয়েছে, সরকারের বেঁধে দেওয়া ট্রাভেল পাসের ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই সেন্টমার্টিন ঘুরতে ইচ্ছুক পর্যটকদের। ট্রাভেল পাস কী জিনিস, এ সম্পর্কেও অনেকেই জানেন না।
জানা গেছে, মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলি ও নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। কেবল কক্সবাজার শহরের নুনিয়ার ছড়ার বিডব্লিউটির ঘাট থেকে সেন্টমার্টিনে জাহাজ চলাচল করবে।

কেয়ারি ক্রুজ অ্যান্ড লিমিটেডের কক্সবাজার শাখার ইনচার্জ নুর মোহাম্মদ ছিদ্দিকী গণমাধ্যমকে বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে অনুমতি তো পেয়েছি, কিন্তু জাহাজ যে ছাড়বে, তা বলা যাচ্ছে না। যাত্রীই নেই, মাত্র ৯ জন নিয়ে তো জাহাজ যাবে না।
তিনি আরও বলেন, সরকার ভ্রমণের জন্য ট্রাভেল পাস তুলে না নিলে সেন্টমার্টিনে যাত্রী যাবেন বলে মনে হচ্ছে না।
এর আগে গত ১৯ নভেম্বর পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটন নিয়ন্ত্রণের জন্য একটি কমিটি গঠন করে। কমিটির সদস্যদের মধ্যে কক্সবাজার সদর ও টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, কক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের উপপরিচালক, বাংলাদেশ কোস্টগার্ড, ট্যুরিস্ট পুলিশসহ বিভিন্ন সরকারি প্রতিনিধি রয়েছেন।
নতুন বিধিনিষেধ অনুযায়ী, সেন্টমার্টিনে প্রতিদিন দুই হাজারের বেশি পর্যটক ঢুকতে পারবেন না। এ ছাড়া রাতযাপন শুধু ডিসেম্বর ও জানুয়ারিতে অনুমোদিত হবে। তা ছাড়া পর্যটকদের পরিবেশবান্ধব উপকরণ ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে।