১০ কোটি টাকা ঋণ পরিশোধ না করায় গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে।
বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) চট্টগ্রাম অর্থঋণ আদালতের বিচারক মুজাহিদুর রহমানের আদালত মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে নতুন পরোয়ানাটি জারি করেন। আদালতের বেঞ্চ সহকারী রেজাউল করিম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, খেলাপি ঋণ আদায়ের জন্য এসবিএসসি ব্যাংক আগ্রাবাদ শাখার পক্ষ থেকে ২০২২ সালে অর্থ ঋণ আদালতে মামলা করা হয়। ওই মামলায় চলতি বছরের ২৭ মার্চ ঋণ গ্রহণকারী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান মেসার্স হাসান এন্টারপ্রাইজের মালিক মাহমুদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ডিক্রি জারি করে আদালত। ওই ডিক্রিতে মূল টাকা হিসেবে ৯ কোটি ৩৪ লাখ ৪৫ হাজার ২২৯ টাকার ওপর ২০২২ সালের ১ নভেম্বর থেকে ২০২৪ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত ১২ শতাংশ হারে সুদ ও অন্যান্য খরচসহ মোট ১০ কোটি ৭৮ লাখ ৪০ হাজার ৬৬ টাকা পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হয়। ওই টাকা ৬০ দিনের মধ্যে পরিশোধের নির্দেশ দেওয়া হলেও তা পরিশোধ না করায় ঋণগ্রহীতা মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে গত ৮ জুলাই ব্যাংকের পক্ষ থেকে একটি জারি মামলা করা হয়।
জানা গেছে, ঋণের বিপরীতে কোনো স্থাবর সম্পত্তি বন্ধক বা সহায়ক জামানত ছিল না। ডিক্রিদার ব্যাংক হলফনামা সহকারে অর্থঋণ আইনের ৩৪ ও ৩৫ ধারা অনুযায়ী ঋণগ্রহীতাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করার আবেদন করেন।

এর আগে ২০২২ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি ২৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মাহমুদুল ইসলাম চৌধুরীর বড় ছেলে মঈনুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী। তিনি আওয়ামী লীগ সরকারের ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত সাইফ পাওয়ারটেকের কর্ণধার রুহুল আমিন তরফদারের মেয়ের স্বামী। যদিও সেবার মঈনুদ্দিনকে গ্রেফতারের পরপরই থানায় এসে পাওনাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, তিনি আংশিক টাকা পরিশোধ করেছেন। পাওনাদার অভিযোগ তুলে নেওয়ায় পুলিশ ছেড়ে দেন।