সম্প্রতি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ছাত্রলীগকে নিষিদ্ধ করেছে আদালত। সেই সংগঠনের বিতর্কিত সভাপতি সাদ্দাম হোসেনকে ‘ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন’ টকশোতে আমন্ত্রণ জানিয়ে তোপের মুখে পড়েছেন সাংবাদিক খালেদ মুহিউদ্দীন। এ ঘটনায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতাকর্মী এবং সমর্থকরা।
তাদের দাবি, ছাত্রলীগের মতো একটি সন্ত্রাসী সংগঠনের নেতাকে টকশোতে নিয়ে আসা জাতীয় বিপ্লব ও শহীদদের প্রতি বেঈমানি।
ইতোমধ্যে এর প্রতিবাদ জানিয়েছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সারজিস আলম।

সারজিস আলম লিখেছেন, ‘খালেদ মুহিউদ্দীন ভাই, এর পূর্বে কয়টা নিষিদ্ধ সংগঠনের লিডারদের সাথে টকশো করেছেন? এটা আমাদের দুই হাজারের অধিক শহিদের সাথে বেঈমানি, অর্ধ-লক্ষ রক্তাক্ত ভাইবোনের রক্তের সঙ্গে বেঈমানি।’
অপরদিকে, হাসনাত আব্দুলল্লাহ লিখেছেন, নিষিদ্ধ সংগঠনের সভাপতিকে প্রমোট করার মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদ বিরোধী আন্দোলনের শহীদ ও জাতীয় বিপ্লব এবং সংহতির সাথে প্রতারণা করা হলো।’
ঠিকানায় খালেদ মুহিউদ্দীন ফেসবুক পেজের মন্তব্য ঘরে দর্শকরা তাদের মতামত তুলে ধরেছেন। খান আশরাফ লিখেছেন, ‘নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠনের নেতা যদি টকশোতে আসেন, তবে তা তাকে পুনর্বাসন করার মতো।’ আল মামুন রাসেল বলেছেন, ‘এটা সন্ত্রাসবিরোধী আইনের ৯ ধারার আওতায় আসতে পারে, তাই এ ধরনের অনুষ্ঠান থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানাই।’
প্রসঙ্গত, গত ২৩ অক্টোবর ছাত্রলীগ নিয়ে সরকার একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে, যেখানে তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড এবং নির্যাতনের অভিযোগ আনা হয়েছে। সরকার বলেছে যে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন সময়ে আন্দোলনরত ছাত্র-ছাত্রীদের উপর আক্রমণ চালিয়েছে এবং অগণিত নিরপরাধ ব্যক্তিকে হত্যা ও আঘাত করেছে।
প্রজ্ঞাপনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে যে, ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা ৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরও রাষ্ট্রবিরোধী কর্মকাণ্ড এবং সন্ত্রাসী কাজ চালিয়ে গিয়েছিল।
