১৪ই মার্চ, ২০২৫

আ.লীগের নির্বাচন অবৈধ ঘোষণা চেয়ে সকালে রিট করে বিকালে বলছেন করেননি, সুর পাল্টালেন সারজিস

শেয়ার করুন

আওয়ামী লীগের আমলে হওয়া তিনটি নির্বাচন (১৪, ১৮ ও ২০২৪) অবৈধ ঘোষণা ও রায় না হওয়া পর্যন্ত দলটির সাংগঠনিক কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আজ সোমবার সকালে হাইকোর্টে রিট করার পর বিকেলে নিজের বক্তব্য থেকে সরে এসেছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক সারজিস আলম।

এদিন বিকেলে এবি পার্টির সঙ্গে সংলাপ শেষে সাংবাদিকরা রিটের বিষয়ে জানতে চাইলে সার্জিস বলেন, এখনও কোনো রিট হয়নি। রিটের খসড়া তৈরি করা হয়েছে মাত্র।

এদিকে, সার্জিস আলম এবং হাসনাত আব্দুল্লাহ উভয়ে রিট করেছেন দাবি করে সকালে তাদের ফেসবুক ওয়ালে একটি স্ট্যাটাস দেন। সেখানে স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, ‘দুটি রিট করেছি। আওয়ামী লীগের বিগত তিনটি নির্বাচনকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং অবৈধভাবে প্রাপ্ত সুবিধাগুলো কেনো ফিরিয়ে দেবে না সে বিষয়ে প্রথম রিট। এই মামলার রায় না হওয়া পর্যন্ত কেন তাদেরকে পলিটিক্যাল সকল অ্যাক্টিভিটি থেকে বিরত রাখা হবে না সে বিষয়ে দ্বিতীয় রিট।’

এরপর বিষয়টি নিয়ে দেশের সব গণমাধ্যমে একযোগে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়, সোমবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই রিটটি দায়ের করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ ও সমন্বয়ক সারজিস আলম।

রিটকারীদের আইনজীবী জ্যেষ্ঠ আইনজীবী আহসানুল করিমও সাংবাদিকদের রিট দায়েরের তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘রিটে সরাসরি আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ চাওয়া হয়নি। রাজনৈতিক দল হিসেবে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রমের ওপর নিষেধাজ্ঞা চাওয়া হয়েছে।’

যদিও দল হিসেবে আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কিংবা নিবন্ধন নিষিদ্ধের কোনো কথা রিটে নেই বলেও পোস্টে জানান সারজিস আলম।

আহসানুল করিম জানান, মঙ্গলবার বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চে এ রিটের শুনানি হতে পারে।

রিটের প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি জানিয়ে সারজিস জানান, প্রক্রিয়া শেষে সমন্বয়করা গণমাধ্যমের সামনে আসবেন।  সারজিস আলম বলেন, ‘আমরা একটি রিটের প্রসেস করছিলাম, সেখানে আওয়ামী লীগ ১৬ বছরে যে কোনো দলকে নষ্ট করতে যা যা করেছে, আমরা সেরকম কোনো কিছুর ভিত্তিতে যাবো না। তারা বিগত তিনটি যে নির্বাচন করেছে দেশের সব মানুষ সাক্ষ্য দেবে এগুলো ছিল প্রহসনের। তাহলে এগুলোকে অবৈধ ঘোষণা করা উচিত। নির্বাচনের পর যারা বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় সুযোগ সুবিধা নিয়েছে সেগুলোও অবৈধ।’

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এ সমন্বয়ক আরও বলেন, ‘আমরা একটি প্রাথমিক ড্রাফট করেছি। এই প্রক্রিয়া এখনও শেষ হয়নি। কাল বা পরশু প্রক্রিয়া শেষ করে মিডিয়ার সামনে আমরা বলতাম। মিডিয়াতে বলা হয়েছে, আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ চাওয়া হয়েছে। আমি বা হাসনাত আমরা কেউই এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কথা বলিনি। আমাদের কাছে মনে হয়েছে এটা হয়তো কারও মাধ্যমে সাইডটক হয়ে মিডিয়ায় গিয়েছে।’

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন