১২ই ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

১৪ মাস পর খোলার প্রথম দিনেই কালুরঘাট সেতুতে বিশৃঙ্খলা-অনিয়ম

শেয়ার করুন

সংস্কারের জন্য বন্ধের ১৪ মাস পর যানবাহন চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে কালুরঘাট সেতু। বুয়েট বিশেষজ্ঞের পরামর্শে ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে এই সংস্কার কাজে সেতুতে নতুন করে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন আর সেখানে পানি জমবে না। পুরো সেতুতে পর্যাপ্ত লাইটিংয়ের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। ফলে সেতু নির্মাণের ৯৩ বছর পর রেল ও যানবাহন চলাচলের সঙ্গে এখন পথচারীরাও পায়ে হেঁটে পারাপার হতে পারছেন।

তবে, দীর্ঘ ১৪ মাস পর খোলার প্রথম দিনই চরম বিশৃঙ্খলা ও অনিয়ম দেখা যায়। সেতুটি একমুখী হলেও দুই দিক থেকে একসঙ্গে যানবাহন চলাচল করতে দেখা যায়। এছাড়া, পথচারীদের জন্য আলাদা ওয়াকওয়ে নির্মাণের পরও মূল সেতু দিয়ে হাঁটতে দেখা যায়। ফলে সেতুতে দীর্ঘসময় ধরে যানজট দেখা যায়।

আজ রোববার (২৭ অক্টোবর) সকাল সকাল ১০টা থেকে সেতুটি যান চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হয়।

সেতুর সংস্কার কাজ চলায় চট্টগ্রাম শহরে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘ ১৪ মাস ব্যবহার করতে হয় ফেরি। এসময় এ পথের যাত্রীদের পোহাতে হয় ভোগান্তি আর দুর্ভোগ। এর মধ্যে প্রাণহানিসহ একাধিক দুর্ঘটনা ঘটে। এরপরও যানবাহন চলাচল শুরু হওয়ায় এ দুর্ভোগ কিছুটা হলেও কমবে বলে মনে করেন বোয়ালখালীবাসী।

এদিকে, কালুরঘাট সেতুতে যান চলাচলে আপাতত কোনো প্রকার টোল রাখছে না রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ। সর্বোচ্চ ৮ ফুট উচ্চতার সব ধরনের যানবাহন চলাচল করতে পারবে। তবে চলতে পারবে না ট্রাক-বাসের মতো ভারী যানবাহন।

রেলওয়ে সূত্রে জানা গেছে, ২০২৩ সালের ১ আগস্ট জরাজীর্ণ এ সেতুর সংস্কার কাজ শুরু হয়। প্রায় ১৪ মাস সংস্কার কাজ করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড। সংস্কার কাজ শুরুর তিন মাসের মধ্যেই সেতুটি ট্রেন চলাচলের উপযোগী করে তোলা হয়। এরপর ২০২৩ সালের ১২ নভেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে ঢাকা-চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে ট্রেন চলাচল শুরু হয়। প্রায় ৪৩ কোটি টাকা ব্যয়ে সেতুর সংস্কারকাজ শেষ হয়েছে।

সেতুতে নতুন করে দৃষ্টিনন্দন ওয়াকওয়ে নির্মাণ করা হয়েছে। সেতুর পাটাতনের ওপর বিশেষ প্রযুক্তির কংক্রিটের ঢালাই দেওয়া হয়েছে। ফলে এখন আর সেখানে পানি জমবে না। সেতু নির্মাণের ৯৩ বছর পর রেল ও যানবাহন চলাচলের সঙ্গে এখন পথচারীরা পায়ে হেঁটে পারাপার হতে পারছেন।

প্রসঙ্গত, চট্টগ্রামের কর্ণফুলী নদীর ওপর ১৯৩১ সালে প্রায় ৭০০ মিটার দৈর্ঘ্যের স্টিলের কাঠামোর কালুরঘাট রেলসেতু নির্মিত হয়।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন