ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফজলুল হক মুসলিম হলে চোর সন্দেহে তোফাজ্জল নামের এক মানসিক ভারসাম্যহীন যুবককে পিটিয়ে হত্যা করেছে শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৩ জনকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা।
তাদের মধ্যে ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী মুত্তাকীন সাকিন। আজ বৃহস্পতিবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ঢাকার বুয়েট ক্যাম্পাস এলাকা থেকে আটক করে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করে শিক্ষার্থীরা।
এ সময় তোফাজ্জলকে নির্মমভাবে পিটিয়ে হত্যার কারণ জানতে চাইলে মুত্তাকীন সাকিন গণমাধ্যমকে বলেন, গতকাল আমার ফোন হারিয়ে গেছিল। চোর ধরা পড়ার বিষয়টি জানতে পেরে সেখানে ছুটে যাই। আমি জিজ্ঞেস করায় তিনি বলেছেন ৫ মিনিটের মধ্যে লোক আসবে।

তাই বলে একটা মানুষকে এভাবে পিটিয়ে মেরে ফেলবেন? সাংবাদিকদের এই প্রশ্নে মুত্তাকীন সাকিন বলেন, আমার মোবাইল হারিয়ে গেছে। যেটি আমি টিউশনির টাকায় কিনেছিলাম। সেকারণে যাস্ট আবেগের বশে পিটিয়েছি।
সাংবাদিকদের আরেকটি প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, এর আগেও আমাদের অনেক শিক্ষার্থীদের ফোন হারিয়েছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে জানালেও কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। তার কথায় মনে হয়েছে, সেই চোর। তাই আবেগের বশে তাকে পিটিয়েছি।
মুত্তাকীন আরও বলেন, আমরা ওঁনাকে (তোফাজ্জল) একটা ভিডিও দেখাই। সে সময় তিনি ভিডিওতে থাকা লোকটিকে চেনেন বলে জানান। নাম বললেন, মিজান।
মুত্তাকীন আরও জানান, তিনি একা নন, হলের অনেকেই যে যেভাবে পেরেছে তোফাজ্জলকে মেরেছে।
পরে শিক্ষার্থীরা তাকে শাহবাগ থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
