চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের ১১ টি থানার কার্যক্রম পুনরায় চালু হয়েছে। শুক্রবার সকাল ১১টা থেকে এসব থানায় কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শনিবার থেকে আরও চারটি থানার কার্যক্রম শুরু হবে।
পতেঙ্গা থানার কার্যক্রম শুরু হতে আরও সময় লাগতে পারে বলে সিএমপি জানিয়েছে। এবং মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের অভিযানের কার্যক্রম বন্ধ থাকলেও কর্মকর্তারা নিয়মিত অফিস করছেন।
চান্দগাঁও, পাহাড়তলী, বায়েজিদ বোস্তামী, বাকলিয়া, খুলশী, সদরঘাট, পাঁচলাইশ, আকবরশাহ, চকবাজার, কর্ণফুলী ও বন্দর কার্যক্রম থানা কার্যক্রম শুরু করেছে –

এছাড়া হালিশহর, ডবলমুরিং, কোতোয়ালি ও ইপিজেড থানার কার্যক্রম শুরু হবে আগামীকাল শনিবার।
এদিকে যেসব থানায় হামলার শিকার হয়নি বা কম ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেসব থানার কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে। আর যেসকল থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে, সেসকল থানায় পুলিশ সদস্যরা এলেও সেখানে তাদের বসার মতো অবস্থা ছিল না। তাই সিএমপির পাঁচ থানায় এখনও কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি ।
শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত সোমবার বিকেল থেকে চট্টগ্রামের অনেক থানায় হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। পুলিশের কাজে ব্যবহৃত গাড়ি পুড়িয়ে দেয়া হয় ।
অনেক জায়গায় অস্ত্রসহ বিভিন্ন সরঞ্জাম ও নথি লুট হয়। এরপর পুলিশি ব্যবস্থা প্রায় ভেঙে পড়ে।
সিএমপি কমিশনার মো. সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘সিএমপির ১৬ থানার মধ্যে ১১ থানার কার্যক্রম শুক্রবার সকাল ১১টায় শুরু হয়েছে। সিএমপির পাঁচ থানায় হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে।

আমাদের ট্রাফিক পুলিশের কার্যক্রম এখনও শুরু হয়নি। এ বিষয়ে এখনও কোনো নির্দেশনা দেয়া হয়নি পুলিশ সদর দপ্তর থেকে ।
সিএমপি উত্তর বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘আমার অধীনে চার থানা রয়েছে। চার থানার কার্যক্রম সকাল থেকে শুরু হয়েছে।’
সিএমপি গোয়েন্দা (উত্তর ও দক্ষিণ) উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) সাদিরা খাতুন বলেন, ‘এখনো পর্যন্ত আমাদের অভিযান বন্ধ রয়েছে।’
সিএমপির মিডিয়া বিভাগের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার (এডিসি) কাজী মো. তারেক আজিজ বলেন, ‘আগামীকাল শনিবার থেকে হালিশহর, ডবলমুরিং ও কোতোয়ালি (থানা প্রাঙ্গণে) থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে শুরু হবে।
একই দিন ইপিজেড থানার কার্যক্রম সীমিত পরিসরে নিউমুরিং ফাঁড়িতে শুরু হবে। এছাড়া পতেঙ্গা থানার কার্যক্রম শুরু করার জন্য নতুন ভবন খোঁজা হচ্ছে।’