চলতি সপ্তাহের বাকি দুই কর্মদিবস ও সাপ্তাহিক ছুটির দুই দিনে ঢাকাসহ চার জেলায কারফিউ শিথিলের সময় আরও দুই ঘণ্টা বাড়িয়ে ১৩ ঘণ্টা করা হয়েছে।
বুধ থেকে শনিবার সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত কারফিউ চলাকালে বিধিনিষেধ থাকবে না বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় সচিবালয়ে এক বৈঠক শেষে তিনি নতুন সময়সূচির ঘোষণা দেন।

এর আগে ররি থেকে মঙ্গলবার পর্যন্ত কারফিউ শিথিল ছিল সকাল ৭টা থেকে বিকাল ৬টা; ১১ ঘণ্টা।
কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ার সঙ্গে অফিসের সময়ও স্বাভাবিক সূচিতে ফিরছে।
কোটা আন্দোলন ঘিরে সহিংসতা আর কারফিউয়ের কড়াকড়ি কাটিয়ে ১২ দিন পর সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত সরকারের অফিসসূচির ঘোষণা আসে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত ও আধাস্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে আগের মত সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা দাপ্তরিক কার্যক্রম চলবে।
কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষে ১৮ জুলাই থেকেই স্থবির হয়ে পড়েছিল রাজধানীর জনজীবন। একের পর এক হতাহতের ঘটনা ও বিভিন্ন স্থাপনায় তাণ্ডব চলানোয় উদ্বেগ ছড়ায়।

পরদিন ১৯ জুলাই রাত ১২টা থেকে দেশজুড়ে কারফিউ শুরু হয়। কারফিউর মধ্যে ২১ থেকে ২৩ জুলাই ছিল সাধারণ ছুটি।
পরে কারফিউ কিছুটা শিথিল করা হলে ২৪ জুন অফিস খোলে। ওই দফায় বেলা ১১টা থেকে ৩টা পর্যন্ত চার ঘণ্টা অফিস কার্যক্রম চলে।
ধারাবাহিকভাবে কারফিউ শিথিলের সময় বাড়ানো হলে এ সপ্তাহের রবি থেকে মঙ্গলবার সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত অফিস চালানোর সিদ্ধান্ত হয়।
এই তিন দিন সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ঢাকা মহানগর, ঢাকা জেলা, নারায়ণগঞ্জ, নরসিংদী এবং গাজীপুর জেলায় কারফিউ শিথিল রাখা হয়েছিল। দেশের অন্য জেলাগুলোর কারফিউয়ের সময়সূচি ঠিক করে দিয়েছিল সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসন।
বুধবার থেকে কারফিউ থাকবে কি না, থাকলে কতক্ষণ, সে সিদ্ধান্ত এখনও জানায়নি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
দিনের বেশিরভাগ সময় কারফিউ না থাকায় স্বাভাবিক চিত্র ফিরছে জনজীবনে। রাজধানীসহ সারা দেশে গণপরিবহন চলাচল বেড়েছে। দূরপাল্লার বাস ও লঞ্চও চলছে। বৃহস্পতিবিার থেকে স্বল্প দূরত্বে ট্রেন চলাচল শুরু করবে।