দেশি-বিদেশি যেকোন ষড়যন্ত্র ও চাপ অতিক্রম করার সাহস সরকার রাখে বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
তিনি বলেন, ‘দেশি-বিদেশি চাপ আছে। তবে আমরা সেই চাপ অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখি, সাহস রাখি- পদ্মা সেতু ও রাজধানীতে আধুনিক মেট্রোরেল তার বড় উদাহরণ। আরও পাঁচটি মেট্রোরেল হবে, এর পাশাপাশি দুটি পাতাল রেলের কাজ চলছে। ২০৩০ সালের মধ্যে ঢাকায় ছয়টি মেট্রোরেলের নির্মাণকাজ শেষ করা হবে।’
ওবায়দুল কাদের আজ রোববার নতুন মন্ত্রিসভায় চতুর্থবারের মতো সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পাওয়ার পর সচিবালয়ে প্রথম দিন নিজ কার্যালযয়ে এসে সাংবাদিকদের সাথে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশি-বিদেশী চাপের বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বারবার বলেছেন। চাপ বিদেশ থেকেও আছে, দেশেও আছে। কিন্তু আমরা তা অতিক্রম করার ক্ষমতা রাখি, সাহস রাখি, সামর্থ্য রাখি।
তিনি বলেন, আমাদের শক্তির উৎস বাংলাদেশের জনগণ, আমাদের সম্পর্ক মাটি ও মানুষের সাথে। মাটি ও মানুষের সাথে যে দলের যে সরকারের সম্পর্ক- সেই দল কোন বিদেশি চাপ বা দেশি চাপ, কোন চাপের কাছেই নতি স্বীকার করে না।
রাজনীতি, অর্থনীতি ও ব্যক্তিগত জীবনের সর্বক্ষেত্রেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে- জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি মনে করি- কোনো চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করা অসম্ভব নয়, সবই অতিক্রম করতে পারবে বর্তমান সরকার।
তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘ পথ পাড়ি দিয়ে এসেছি। পথে পথে বাধা, পদে পদে বাধা- সেটা আমরা অতিক্রম করেছি। আমরা অতিক্রম করেছি নির্বাচনী পরিস্থিতি। নির্বাচন তো হয়েই গেছে। অনেকে বলেছেন- নির্বাচন তো করতে পারবে না, কিন্তু আমরা নির্বাচন করেছি। আমাদের স্বপ্ন আমরা বাস্তবায়িত করেছি। এখনও আমাদের ওপর চাপ আসবে আমরা জানি, বিদেশি চাপ আসবে, নানান ধরনের চাপ আসবে, পাশাপাশি আমাদের অর্থনীতিকে বিপন্ন করার ষড়যন্ত্রও আছে। এগুলো অতিক্রম করতে হবে এগুলোকে ভয় পেলে চলবে না, সাহস রাখতে হবে।
বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর নতুন করে নির্বাচনের দাবিকে ‘মামাবাড়ির আবদার’- বলে মন্তব্য করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, দেশটা সকলের। দেশ যে শুধু আওয়ামী লীগের সেটা তো বলতে পারি না। সত্যিকার অর্থে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক চর্চায় আসতে হবে। আমরাও চিরজীবন ক্ষমতায় থাকবো না। একটা দল চিরজীবন ক্ষমতায় থাকেও না। এ দেশের সকল সম্পদ জনগণের। বিরোধীদলের যারা আছেন, তারাও এ সম্পদের অংশীদার। কাজেই উন্নয়নের যে যাত্রা শুরু হয়েছে, সেটা ২০৪১ সাল অবধি আমাদের ভিশনে নিয়ে যেতে হবে।
দ্রব্যমূল্য নিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, আজকাল আমাদের গ্রামীণ বাজার পর্যন্ত ভরপুর খাদ্য সামগ্রী, ফলমূল সব আছে। সীমান্তেও একই অবস্থা। কিছু নিম্নআয়ের মানুষের কষ্ট হচ্ছে। মানুষ যাতে সহজে দ্রব্যমূল্য কিনতে পারে- সেক্ষেত্রে আমরা জোর দেবো।
সড়কে শৃঙ্খলা, যানবাহনে শৃঙ্খলার বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী বলেন, আমাদের অনেকগুলো কাজ আছে চ্যালেঞ্জ অনেক আছে। তবে এর মধ্যে আমি এখনো বলি সড়কে শৃঙ্খলা, যানবাহনে শৃঙ্খলা এ বিষয়টা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা এখনো পুরোপুরিভাবে অর্জন করতে পারিনি।
তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংকের অর্থায়নে আমরা একটা পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি, আমি আশা করি যে- এই পরিকল্পনাটা বাস্তবায়ন হলে সড়কে নিরাপত্তা, রোড সেফটির যে প্রোগ্রাম এ প্রোগ্রাম আমরা সফলতার দিকে নিয়ে যেতে পারবো। সড়কের শৃঙ্খলা ফিরে আসবে, এটা আমাদের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।