চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ। এরপরও কলেজ ক্যাম্পাসে দলীয় ফরম এবং লিফলেট বিতরণ করতে প্রবেশ করলে সাধারণ শিক্ষার্থীদের বাধার মুখো পড়ে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। পরে শিক্ষার্থীরা ছাত্রদল নেতাকর্মীদের কলেজ থেকে বের করে দেন।
যদিও ছাত্রদল নেতাদের দাবি, এ ঘটনায় শিবির জড়িত। তারা হামলা চালিয়েছে।
তবে ছাত্রশিবির ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন বলছে, বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টাকালে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা ক্যাম্পাস ছাড়তে বাধ্য হয়।

ছাত্ররাজনীতি নিষিদ্ধ থাকা চট্টগ্রাম কলেজ ক্যাম্পাসে দলীয় ফরম ও লিফলেট বিতরণ করতে গেলে একদল শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে পড়েছে শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। এতে উভয় পক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডার ঘটনা ঘটেছে।
আজ রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে কলেজ ক্যাম্পাসে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, দুপুর ১২টার দিকে বিএনপির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মীর হেলালের অনুসারী চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রদল নেতা রিদুয়ান রিদুর নেতৃত্বে ১০-১২ জনের একটি দল ক্যাম্পাসে দলীয় ফরম ও লিফলেট বিতরণের চেষ্টা করে। এতে কলেজের একদল শিক্ষার্থীরা বাধা দেন। এ সময় ছাত্রদল নেতা রিদু সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর চড়াও হয়। পরে শিক্ষার্থীদের প্রতিরোধের মুখে তাদের ক্যাম্পাস থেকে বের করে দেয়।
এ বিষয়ে কলেজ শাখা ছাত্রদলের যুগ্ম আহ্বায়ক সাইফুল করিম বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে ছাত্রদলের সবসময় ভালো সম্পর্ক ছিল, আছে, থাকবে। আমাদের কয়েকজন কর্মী ক্লাস করতে গেলে পূর্বপরিকল্পিতভাবে শিবিরের সভাপতি-সেক্রেটারি তাদের ওপর হামলা চালায়। আমাদের কেউ সেখানে ফরম বিতরণ করতে যায়নি।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চট্টগ্রাম মহানগরের যুগ্ম আহ্বায়ক হামিম আব্দুল্লাহ বলেন, তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর চট্টগ্রাম কলেজে রাজনীতি বন্ধ থাকলেও ছাত্রদলের এক নেতা বহিরাগত নিয়ে ক্যাম্পাসে ঢোকার চেষ্টা করে। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদের মুখে তারা বের হতে বাধ্য হয়।

চট্টগ্রাম উত্তর জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জুয়েল বলেন, চট্টগ্রাম কলেজে ছাত্র রাজনীতি নিষিদ্ধ করার পর ছাত্রদের চাওয়াকে সম্মান করে আমরা কোন কার্যক্রম পরিচালনা করছি না। ছাত্রশিবির সবসময় শিক্ষার্থীদের চাওয়াকে মূল্যায়ন করেছে। তাই এখানে ছাত্রশিবিরের নাম আসার সুযোগ নেই। সব জায়গায় ছাত্রশিবিরের নাম দেওয়া চিরাচরিত নিয়ম হয়ে গেছে। সেদিন তো দেখলেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি বললেন ‘ছাত্রশিবিরের ওপর দায় দিয়ে দাও।