২০২২ সালের ১০ অক্টোবর স্বপরিবারে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন দেশের সবচেয়ে বড় শিল্পগ্রুপের মালিক সাইফুল আলম মাসুদ। আবার ওইদিনই তারা বিদেশি নাগরিক হিসেবে বাংলাদেশে স্বায়ী বসবাসের অনুমতি পান।
এখন প্রশ্ন হলো, কেন তারা বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করলেন? করে বিদেশে চলে না গিয়ে বাংলাদেশে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি চেয়ে আবেদন করলেন?
এ ব্যাপারে বিশ্লেষকরা ৫টি প্রধান কিছু কারণ খুঁজে বের করেছেন ।

যে ৫ কারণে স্বপরিবারে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছে এস আলম
১. এর অন্যতম কারণ, অর্থ পাচার সহজ করা এবং যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে জবাবদিহি এড়ানোর জন্য
২. ট্যাক্স হেভেন হিসেবে পরিচিত দেশগুলিতে অর্থ পাচার এবং সম্পদ ক্রয়ের জন্য
৩. বাংলাদেশে বিনিয়োগে যে প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলো এড়ানোর জন্য
৪. সিঙ্গাপুরে একসঙ্গে দ্বৈত নাগরিকত্ব মানে একসঙ্গে দুই দেশের নাগরিক থাকা সম্ভব না। তারা সিঙ্গাপুরের নাগরিক হয়াকে গুরুত্ব দিয়েছেন, তাই বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছে।

৫. বাংলাদেশে কেউ যদি বিদেশি নাগরিক হিসেবে ৭৫ হাজার ডলার বিনিয়োগ করেন, তবে তাকে স্থায়ী বসবাসের অনুমতি দেওয়ার নিয়ম রয়েছে। আর এই সুযোগটা কাজে লাগিয়েছে এস আলম গােষ্ঠী।
আর এর প্রমাণও তারা দিল। গত ১৮ ডিসেম্বর এস আলম নিজেকে সিঙ্গাপুরের নাগরিক দাবি করে বাংলাদেশ সরকারকে একটি নোটিশ দিয়েছে। নোটিশে ইউনূস সরকারকে সতর্ক করে বলা হয়, ছয় মাসের মধ্যে তাদের সম্পত্তি (যেমন- ব্যাংক, ব্যবসা প্রতিষ্ঠান জব্দ) সংক্রান্ত বিষয় সমাধান না করলে বাংলাদেশ ও সিঙ্গাপুরের মধ্যে ২০০৪ সালের দ্বিপক্ষীয় বিনিয়োগ চুক্তির অধীনে আন্তর্জাতিক সালিশি প্রক্রিয়া অনুসরণ করবেন তিনি।
ওই চিঠিতে মাসুদ বলেন, একজন সিঙ্গাপুরের নাগরিক হিসেবে, বাংলাদেশে একজন বিদেশি বিনিয়োগকারী হিসেব ক্ষতি আদায়ে তিনি আন্তর্জাতিক আইনি প্রচেষ্টা শুরু করেছেন।