১৪ই মার্চ, ২০২৫

চট্টগ্রাম আদালতে বিচারক-আইনজীবীর মধ্যে হট্টগোল, কী হয়েছিল সেখানে?

ফাইল ছবি

শেয়ার করুন

দুপুর সাড়ে ১২টার ঘটনা। গত ১৭ জুলাই নগরীর মুরাদপুর এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহত শোয়াইবুল ইসলাম নামের এক ভুক্তভোগী ১২৬ জনের নাম উল্লেখ করে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা করতে যান। এ সময় বাদীর আইনজীবী মামলাটি গ্রহণ করে থানায় এজাহার হিসেবে নিতে শুনানিতে আবেদন জানান আদালতের কাছে। পরে আদালত বাদীর বক্তব্য গ্রহণ করে মামলায় থাকা আসামিদের নাম বলতে বলেন। বাদী কয়েকজনের নাম বলতে পারলেও বাকিদের জানেন না। তখন আইনজীবী আদালতকে উদ্দেশ্য করে বলেন, এভাবে সবার নাম বলা সম্ভব না। এই বিষয় নিয়ে বিচারক ও আইনজীবীর মধ্যে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দেন। পরে এই নিয়ে হট্টগোল শুরু হলে বিচারক বিব্রতবোধ করে এজলাস থেকে নেমে যান। এ খবর জেনে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের অন্য বিচারকরাও এজলাস থেকে নেমে যান।

আজ মঙ্গলবার (২৩ অক্টোবর) আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলায় চট্টগ্রাম ম্যাট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অলি উল্লাহর আদালতে এ ঘটনা ঘটে। এ মামলার বাদীর আইনজীবী ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও সদ্য নিয়োগপ্রাপ্ত জেলা পিপি আশরাফ হোসেন চৌধুরী।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জেলা পিপি আশরাফ হোসেন চৌধুরী গণমাধ্যমকে বলেন, গত ১৭ জুলাই মুরাদপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে আহতের ঘটনায় এক ভুক্তভোগী মামলা করতে এলে থানায় এজাহার হিসেবে নিতে আবেদন করা হয়। কিন্তু বিচারক বাদীর কাছে আসামিদের নাম জানতে চান। এভাবে সব আসামির নাম বলা সম্ভব নয়। আদালত পিবিআইকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন, তা মেনে নিয়েছি। এরপর আমাকে উদ্দেশ করে কটূক্তি করা হয়েছে।

আদালত সূত্র জানায়, বেলা দেড়টার দিকে ম্যাজিস্ট্রেটরা চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট কক্ষে বৈঠকে বসেছিলেন। দুপুরের পর মেট্রোলিটন ম্যাজিস্ট্রেট অরি উল্লাহ ছাড়া বাকিরা এজলাসে বসেছেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম নগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার প্রসিকিউশন মফিজুর রহমান।

মহানগর/এআই

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন