চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহ’র পদত্যাগের দাবিতে বিভিন্ন সংগঠনের দেয়া আল্টিমেটামের পর কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে ভেতরে অফিস করছেন কর্মকর্তারা। শুধু তাই নয়, এমডির কক্ষের বাইরেও তালা ঝুলিয়ে এমডির সমর্থকদের দাঁড় করিয়ে রাখা হয়েছে। কর্মকর্তা-কর্মচারী ছাড়া কাউকে ভেতরে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া হচ্ছে। ফলে সেবা নিতে আসা গ্রাহকরা ভোগান্তিতে পড়েছেন, সেবা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন।
বুধবার (৪ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চট্টগ্রাম ওয়াসা কার্যালয়ে গিয়ে দেখা যায় এমন চিত্র।
সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) ওয়াসার এমডির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলন করে বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজ। এর আগে ১৭ দফা দাবিতে আল্টিমেটাম দিয়েছিল বিএনপি সমর্থিত ওয়াসার কর্মচারীদের একটি সংগঠন।
এর মধ্যে আন্দোলনে একাত্মতা জানিয়ে অংশ নেয় কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব), চট্টগ্রামের নেতাকর্মীরা। ওয়াসা ঘেরাও কর্মসূচি পালন করার সময় এমডি সমর্থকরা হামলা চালায় তাদের ওপর। এরপর থেকে ওয়াসার নিরাপত্তা বাড়ায় কর্তৃপক্ষ।
সরেজমিন দেখা যায়, ওয়াসা কার্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা জুলিয়ে রাখা হয়েছে। পাশাপাশি গ্রাহক কিংবা বহিরাগতদের প্রবেশ রুখতে অবস্থান নিয়েছে এমডির সমর্থকরা। ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারী ব্যতিত কাউকে ভিতরে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন সেবা নিতে আসা অনেক গ্রাহক। প্রবেশে বাধা দেওয়ায় গ্রাহকদের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়ান ফটকে দায়িত্বরত নিরাপত্তাকর্মী। শুধু প্রধান ফটক নয় এমডি কার্যালয়ের সামনের গেইটও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
ফটকে তালা দেওয়ার বিষয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার প্রধান প্রকৌশলী মাকসুদ আলম বলেন, গত কয়েকদিন ধরে কার্যালয়ে সৃষ্ট অনাকাক্সিক্ষত ঘটনার কারণে নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে। মূল গেইট বন্ধ থাকলেও পকেট গেইট খোলা আছে। গ্রাহকদেরও সেবা দেওয়া হচ্ছে।
