করিম, রাসেল, জাহাঙ্গির ও আলমগীর চার ভাই, থাকতেন প্রবাসে। সন্দেহের জেরে করিম তার স্ত্রীকে তালাকের সিদ্ধান্ত নিয়ে সম্প্রতি প্রবাস থেকে দেশে ফিরেন। এর মধ্যে অন্য তিন ভাইও দেশে ফিরেন। মঙ্গলবার সন্ধ্যায় করিম কিরিচ দিয়ে স্ত্রী ও মেয়েকে কোপাতে থাকে। এসময় অন্য তিন ভাই এবং স্থানীয় কয়েকজন এসে বাধা দিলে তাদেরও কোপাতে থাকে। পরবর্তীতে এলাকাকাসীর সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েন তারা। এতে করিমের কোপের আঘাতে জাহাঙ্গীর ও আলমগীর দুই ভাই নিহত হন। আহত হয়েছেন সাহাবুদ্দিন, বাচ্চু, বোরহানসহ ৬ জন।
মঙ্গলবার (৩ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার জাফতনগর ইউনিয়নের পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডে সামাদবাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফটিকছড়ি থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু জাফর বলেন, প্রাথমিকভাবে জানতে পেরেছি, পারিবারিক অশান্তির জেরে করিম তার স্ত্রীকে তালাকের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এ নিয়ে তাদের পরিবারের সদস্য ও প্রতিবেশিদের কেউ কেউ ওই ব্যক্তির বিপক্ষে অবস্থান নেন। আজ (মঙ্গলবার) সন্ধ্যার দিকে একই বিষয় নিয়ে ঝগড়ার জেরে দু’জনকে কুপিয়ে খুন করা হয়েছে। কেউ কেউ বলছেন, করিমই খুন করেছেন। আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি।
এ ঘটনার পর জাফতনগর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. জিয়া উদ্দিনের বক্তব্য সম্বলিত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পাওয়া গেছে। সেখানে তিনি জানিয়েছেন, সামাদবাড়ির বাসিন্দা করিম সম্প্রতি দুবাই থেকে দেশে ফেরেন। স্ত্রীর ওপর সন্দেহের জেরে তাদের সংসারে প্রায়ই অশান্তি লেগেছিল। আজ (মঙ্গলবার) বিকেলে ঝগড়ার পর করিম তার স্ত্রী ও মেয়েকে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে আহত করেন। এ ঘটনা দেখে পরিবার ও আশপাশের লোকজন বাধা দিতে গেলে আরও অন্তত ছয়জনকে এলোপাতাড়ি কোপান করিম। এদের মধ্যে দু’জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া ছয়জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
