৭ দিনের মধ্যে চার দফা দাবি আদায় না হলে চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লার পদত্যাগের দাবিতে আন্দোলনে মাঠে নামার হুঁশিয়ারি দিয়েছে জাতীয়তাবাদী শ্রমিক কর্মচারী দল।
আজ সোমবার (২ সেপ্টেম্বর) সকালে এক বিক্ষোভ সমাবেশ করে তারা এ সময় বেঁধে দেন।
চার দফা দাবিগুলো হলো :

১. চট্টগ্রাম ওয়াসার সহকারী পাম্প চালকদের করা মামলা সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের রায় সঠিকভাবে বাস্তবায়ন এবং আইনগত জ্যেষ্ঠতা প্রদান করতে হবে।
২. অবিলম্বে কো-অপারেটিভের নামে চট্টগ্রাম ওয়াসার বিভিন্ন স্থাপনায় অবৈধভাবে দোকানপাট নির্মাণ করে লাখ লাখ টাকা লুটপাট বন্ধ করতে হবে এবং অবৈধ স্থাপনা গুলো কর্তৃপক্ষের নিয়ন্ত্রণে নিতে হবে।
৩. কর্মকর্তা কর্মচারীদের প্রভিডেন্ড ফান্ডের ২০২৪ পর্যন্ত চূড়ান্ত হিসাব আপডেট করতে হবে।
৪. চট্টগ্রাম ওয়াসার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা চাকরি থেকে অবসর গ্রহণের পর ১৫ দিনের মধ্যে চূড়ান্ত পাওনা পরিশোধ করতে হবে।
এর আগে, গতকাল রোববার (১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে ওয়াসার এমডি এ কে এম ফজলুল্লাহর পদত্যাগসহ ১৭ দফা দাবিতে বৈষম্যবিরোধী নাগরিক সমাজের ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করা হয়।
আন্দোলনকারীরা ২৪ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দিয়ে বলেন, নিজ উদ্যোগে পদত্যাগ না করলে হেনস্তার শিকার হতে হবে।
এ সময় বিক্ষোভকারীরা এমডির কক্ষে ঢুকে বলেন, আপনি স্বৈরশাসক হাসিনা সরকারের আপনজনদের একজন। আমরা চাই স্বৈরশাসকের অনুসারীরা এ রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকবে না। তাই অতিসত্তর চট্টগ্রাম ওয়াসার এমডি থেকে পদত্যাগ করুন।
এ সময় ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, আমি কোনো স্বৈরশাসকের দোসর না। তাদের কারো সঙ্গে আমার যোগাযোগও ছিল না। আমি সরকার নিযুক্ত লোক, কোনো রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব না। আজকে মানুষদের কথায় চলে গেলাম। তখন সরকার আমার থেকে জানতে চাইবে আমি গেলাম কেন?

তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসায় আমার কোনো দুর্নীতি নেই। এখানে দুদক ও বিভিন্ন সরকারি দপ্তর থেকে তদন্ত করেছে। কোনো দুর্নীতির প্রমাণ পাওয়া যায়নি এবং দুর্নীতির কোনো সুযোগ নেই।