৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫

১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার ক্ষয়ক্ষতি নির্ধারণ

ইপিজেড থানায় হামলা ও লুটপাট, আসামি ২৫ হাজার

ফাইল ছবি

শেয়ার করুন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের (সিএমপি) ইপিজেড থানায় হামলা ও লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে অজ্ঞাত ২৫ থেকে ৩০ হাজার ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।

সিএমপি সূত্রে জানা গেছে, ইপিজেড থানার এসআই শাকিলুর রহমান বাদী হয়ে মামলাটি মূলত গত বৃহস্পতিবার রাতে করা হয়। কিন্তু প্রকাশ করা হয় আজ সোমবার (২৬ আগস্ট) বিকেলে।

মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন বন্দর জোনের উপ পুলিশ কমিশনার শাকিলা সোলতানা।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ৫ আগস্ট ইপিজেড থানায় বোমা, ককটেল বিস্ফোরণ, অগ্নিসংযোগ এবং লুটপাটের ঘটনায় বিস্ফোরক আইনের ১৯০৮ ও ১৫(৩) / ২৫-ডি ধারা ও বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৯৫৪ ধারায় একটি মামলা হয়েছে।

এতে আরও বলা হয়, গত ৫ আগস্ট বিকেলে অজ্ঞাতনামা ২৫ হাজার থেকে ৩০ হাজার জন দুষ্কৃতকারী পূর্ব পরিকল্পিতভাবে হত্যার উদ্দেশ্যে মারাত্মক অস্ত্র-শস্ত্রে সজ্জিত হয়ে দাঙ্গা-হাঙ্গামা সৃষ্টি করে অবৈধভাবে থানায় অনধিকার প্রবেশ করে। তারা বিস্ফোরকদ্রব্য পেট্রোল বোমা, ককটেল ও দাহ্য পদার্থ নিক্ষেপ করে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে অগ্নিসংযোগ করে থানা ভবন, থানায় থাকা যানবাহনের কার্যক্ষমতা ব্যাহত করে সরকারি কর্মচারিকে আক্রমণ, কর্তব্য পালনে বাধা দান, করে বলপ্রয়োগের মাধ্যমে অস্ত্র-গুলি লুটপাট, সরকারি ও ব্যক্তিগত মালামাল ও যানবাহন চুরি করে। এ সময় থানায় দায়িত্বরত পুলিশ কর্মকর্তাদের ওপর হামলা চালিয়ে তাদের গুরুতর আহত করে আসামিরা। এছাড়াও আসামিরা থানা ভাঙচুর করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ জিনিসপত্র অগ্নিসংযোগ করে জ্বালিয়ে দেন। এতে সর্বমোট ১ কোটি ৪৪ লাখ ৫০ হাজার টাকার লুণ্ঠন ও ভাঙচুর করে ক্ষতিসাধন করেন।

প্রসঙ্গত, ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে শেষ পর্যন্ত ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হয় শেখ হাসিনার সরকার।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন