৫ই ডিসেম্বর, ২০২৫

কুরস্ক অভিযান : ইউক্রেন কি পারবে লক্ষ্যে পৌঁছাতে?

অভিযানে মনোবল বেড়েছে ইউক্রেনের সেনাদের । ছবি : রয়টার্স

অভিযানে মনোবল বেড়েছে ইউক্রেনের সেনাদের । ছবি : রয়টার্স

শেয়ার করুন

প্রায় ‌১ হাজার সেনার একটি ইউক্রেনীয় দল গত ৬দিন ধরে কুরস্কে অভিযান চলাচ্ছে কুরস্কে অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের মূল লক্ষ্য ও উদ্দেশ্যে হচ্ছে, রাশিয়ান সেনাবাহিনীর সর্বাধিক ক্ষতি সাধন এবং দেশটিকে অস্থিতিশীল করে তোলা। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান এ খবর জানিয়েছে।

রাশিয়ার সেনাবাহিনী জানিয়েছে, মঙ্গলবার শুরু হওয়া হামলায় সীমান্তের ওপারে ইউক্রেনীয় সেনাদের সংখ্যা প্রায় ১ হাজার। তবে ইউক্রেনীয় কর্মকর্তা সেনাদের সংখ্যা আরও বেশি দাবি করেছেন।

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি শনিবার এই আক্রমণের কথা প্রথমবারের মতো স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আমরা যুদ্ধকে আক্রমণকারীর ভূখণ্ডের দিকে ঠেলে দিচ্ছি।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে সর্বাত্মক হামলা শুরু করে রাশিয়া। দুই বছরের বেশি সময় ধরে চলমান যুদ্ধে ইউক্রেনের পূর্ব ও দক্ষিণের বেশ কিছু ভূখণ্ড দখল করেছে মস্কোর সেনারা। ইউক্রেন পাল্টা হামলায় কিছু ভূখণ্ড পুনরুদ্ধার করলেও এখন তারা লোকবল ও অস্ত্রের সংকটে ভুগছে।

কুরস্ক অঞ্চলে রুশ সীমান্তে ইউক্রেনীয় সেনারা কয়েক কিলোমিটার অগ্রসর হয়েছে। যা রাশিয়ার সেনাবাহিনীকে রিজার্ভ ও অতিরিক্ত সরঞ্জাম পাঠাতে বাধ্য করেছে। উভয় পক্ষই কত সংখ্যক বাহিনী নিয়োজিত আছে তা স্পষ্ট করেনি।

ইউক্রেনের ওই কর্মকর্তা দাবি করেছেন, এই অভিযান তাদের মনোবল বাড়িয়েছে এবং ইউক্রেনীয় বাহিনী, রাষ্ট্র ও সমাজের মনোবল বৃদ্ধি করেছে। তিনি আরও বলেন, এটি প্রমাণ করছে, আমরা আক্রমণাত্মক এবং এগিয়ে যেতে পারি। মনে হচ্ছে রুশরা সমন্বয় ও প্রস্তুতির জটিলতায় ভুগছে।

তবে ইউক্রেনের এই অভিযানে পূর্বাঞ্চলের রণক্ষেত্রে খুব একটা প্রভাব পড়েনি। ওই কর্মকর্তার মতে, পূর্বাঞ্চলে পরিস্থিতি মূলত অপরিবর্তিত রয়েছে। রুশদের চাপ অব্যাহত আছে ও তারা ওই এলাকা থেকে সেনা সরাচ্ছে না।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন