চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি পৌরসভা সদরে হেলে পড়া বহুতল ভবনটি আপাতত ঝুঁকিমুক্ত বলে জানিয়েছে উপজেলা প্রশাসন গঠিত বিশেষজ্ঞ তদন্ত কমিটি। তবে ভবনের নকশা বহির্ভূত অংশ অপসারণ এবং পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্তের জন্য প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞদের দিয়ে পূর্ণাঙ্গ স্ট্রাকচারাল অ্যাসেসমেন্ট করানোর সুপারিশ করেছে কমিটি।
শনিবার (২৪ মে) কমিটির সদস্যরা সরেজমিনে ভবনটি যাচাই শেষে সাংবাদিকদের এই তথ্য জানান। এর আগে ভবনটি পাশের একটি ভবনের গায়ে হেলে পড়ায় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল।
গত সোমবার (১৯ মে) একুশে পত্রিকাসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে এ সংক্রান্ত সংবাদ প্রকাশিত হলে উপজেলা প্রশাসন তাৎক্ষণিকভাবে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে।

পূর্বনির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, শনিবার সকালে তদন্ত কমিটির সদস্যরা ভবনটির বিভিন্ন তলা এবং প্রতিটি কক্ষ পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেন ও হেলে পড়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেন।
কমিটির আহ্বায়ক ও উপজেলা প্রকৌশলী তন্ময় নাথ বলেন, “ভবনের অবকাঠামোগত কোনো ত্রুটি প্রাথমিকভাবে চোখে পড়েনি। আপাতদৃষ্টিতে ভবনটি ঝুঁকিপূর্ণ নয়। তবে নকশা বহির্ভূত কাজ অপসারণ করা জরুরি। পূর্ণাঙ্গ সিদ্ধান্ত নিতে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় বা গণপূর্ত অধিদপ্তরের বিশেষজ্ঞ দ্বারা পূর্ণাঙ্গ স্ট্রাকচারাল অ্যাসেসমেন্ট প্রয়োজন।”
ফটিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, “এর আগেও একই ধরনের অভিযোগের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞ দল ভবনটি তদন্ত করেছিল, কিন্তু তখন কোনো সমস্যা পাওয়া যায়নি। তবে ভবনটির নকশা বহির্ভূত অংশ অপসারণের জন্য উদ্যোগ নেওয়া হবে।”
উল্লেখ্য, ফটিকছড়ি পৌরসভা সদরের উপজেলা প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ের প্রায় ১০০ গজ সামনে বিএস ৭৮৫৫ নম্বর দাগের ওপর পৌরসভার বাসিন্দা মো. আবদুল খালেক এই সাততলা ভবনটি নির্মাণ করেছেন।