চট্টগ্রামের হালিশহরে কলেজছাত্র সাব্বির হত্যা মামলার আসামিদের ৭২ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেফতারের আল্টিমেটাম দিয়ে হালিশহর থানার সামনে বিক্ষোভ করছে এলাকাবাসী, স্বজন এবং সহপাঠীরা।
আজ বৃহস্পতিবার (২২ মে) সন্ধ্যায় সাব্বিরের নামাজের জানাজা শেষে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে হালিশহর থানা সামনে গিয়ে বিভিন্ন শ্লোগান দেয় তারা। পরে ওসি এসে আসামিদের গ্রেফতারের আশ্বাস দেন।
গতকাল বুধবার (২১ মে) বিকেল ৫টার দিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। তিনি আইডিয়াল টেকনিক্যাল স্কুল নামে একটি প্রতিষ্ঠানের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী।

সাব্বির হালিশহরের নয়াবাজার আমিন কন্ট্রাক্টর রোড এলাকার মো. ইসহাক কন্ট্রাক্টরের একমাত্র ছেলে। লাইফ সাপোর্টে যাওয়ার আগে গত শনিবার দুপুরে চ্যানেল ২৪ এর এক সাংবাদিকের কাছে হামলাকারী কয়েকজন কিশোর গ্যাং সদস্যদের নাম বলেছিলেন তিনি।
তখন বলেছিলেন, ‘বড়ভাই’ হিসেবে না মানায় কিশোর গ্যাং নেতা আবিদের নেতৃত্বে ৩০/৪০জন তার উপর অতর্কিত হামলা চালায়।
হামলা ও মারধরের একপর্যায়ে কিশোর গ্যাং সদস্য আতাউল তাকে (শাব্বির) পেটে উপর্যুপরি ছুরিকাঘাত করে। হামলার নেতৃত্বে বিজয় ও রাফসান নামে কিশোর গ্যাংয়ের আরও দুই সদস্য জড়িত থাকার কথাও জানান শাব্বির।
স্থানীয় সূত্র জানায়, শাব্বিরের ওপর হামলা চালিয়ে সন্ধ্যার দিকে কিশোর গ্যাং সদস্যরা এলাকায় উল্লাস করেছে। আবিদ, আতাউল, বিজয়, রাফসানের নেতৃত্বে উক্ত এলাকায় ৪০/৫০জনের একটি গ্রুপ রয়েছে। এদের নেতৃত্বে এলাকায় প্রায় প্রতিদিন চাঁদাবাজি, মারামারি ও অস্ত্রবাজির ঘটনা ঘটছে। এদের দমনে পুলিশ দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।
সাব্বিরের মামা মো. শফিকুল জানান, গত ১৬ মে শুক্রবার দুপুরে নামাজ পড়ার পর আবিদ নামে এক তরুণ ‘চা খাওয়ার কথা বলে’ হালিশহরের নতুন বাজার বিশ্বরোড এলাকায় নিয়ে গিয়ে ছুরিকাঘাত করে। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় সাব্বিরকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

হালিশহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান জানান, এলাকার কিশোর-তরুণদের মধ্যে বিরোধ হয়েছিল। তারা সবাই বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থী। এলাকাভিত্তিক গ্রুপিং নিয়ে তাদের মধ্যে মারামারি হয়। সেখানে ছুরিকাঘাত করা হয়েছিল সাব্বিরকে।