ঢাকা উত্তরের প্রশাসকের উপদেষ্টা আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন ৩ বছর আগে!

শেয়ার করুন

ফেসবুকে জনপ্রিয় লেখক আমিনুল ইসলামকে চেনে না খুব কম মানুষই আছেন। ইউরোপের ছোট দেশ এস্তোনিয়ার একটি প্রথম সারির বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজ বিজ্ঞানের শিক্ষক তিনি। গণঅভ্যুত্থানের সময় এবং পরে তার জ্বালাময়ী লেখা পড়ে অনেকেই নতুন করে দেশ প্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। অনেকেই তাঁদের পছন্দের অ্যাক্টিভিস্ট লেখকদের তালিকায় ওনাকে স্থান দিয়েছি।

সম্প্রতি তিনি নতুন করে আলোচনায় উঠে এসেছেন। গণমাধ্যমের শিরোনামও হয়েছেন।ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের উপদেষ্টা হয়েছেন। এ খবর প্রকাশের পর তাঁর শুভাকাঙ্ক্ষী এবং অনুসারীরা শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।

কিন্তু, এর মধ্যে এলো খারাপ খবর। ২০২২ সালে আমিনুল ইসলাম বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগ করেছেন। কি, শুনে অবাক হলেন তো? আমিও হয়েছি। দি ঢাক্কা নামের একটি অনলাইন পত্রিকা বিষয়টি সামনে নিয়ে আসে। বিষয়টি সামনে আসার পর ওনার দেশ প্রেমের বিষয়ে প্রশ্ন উঠেছে। এ কেমন দেশপ্রেম, উন্নত জীবন এবং জীবিকার জন্য জন্মভূমির নাগরিকত্বও ত্যাগ করেছেন।

সে হিসেবে আমিনুল ইসলাম এখন বাংলাদেশের নাগরিক না। বলা যায়, বাংলাদেশের বংশদ্ভুত এস্তোনিয়ার নাগরিক আমিনুল ইসলাম।

এস্তোনিয়ায় সাধারণত দ্বৈত নাগরিকত্বের অনুমতি দেয় না। মানে একজন মানুষ একসঙ্গে দুই দেশের নাগরিক হয়া যায় না। সে জন্য তিনি ২০২২ সালের ১ মার্চ এস্তোনিয়ার নাগরিকত্ব নেয়ার জন্য বাংলাদেশের নাগরিকত্ব ত্যাগের আবেদন করেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কাছে। সেই মাসের ২০ মার্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আবেদন গ্রহণ করেন।

দি ঢাক্কার ফটোকার্ডটি একটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীরা ব্যাপক শেয়ার করছেন দেখে প্রথমে সন্দেহ হয়। পরে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সাইটে গেলে বিষয়টার সত্যতা মেলে।

যদিও এই বিষয়ে এখনোও কোনো মন্তব্য করেননি আমিনুল ইসলাম।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন