আসকার দিঘীর পাড়ে পাহাড় কেটে নকশাবহির্ভূত নির্মাণাধীন ভবন ভাঙার কাজ শুরু

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম শহরের আসকার দিঘীর পাড়ে পাহাড় কেটে নির্মাণাধীন একটি বহুতল ভবন গুঁড়িয়ে দেওয়ার কাজ শুরু করেছে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (সিডিএ)। এদিন সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ভাঙার কাজ শুরু হয়।

আজ মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) সকালে সিডিএ কর্মকর্তা এবং পুলিশ এসে ভাঙার কাজ পরিদর্শন করে যান।

এর আগে গতকাল সোমবার সকালে নগরীর আসকার দিঘীর পাড়ে এস এস খালেদ রোডে ‘গ্রিন্ডল্যাজ ব্যাংক পাহাড়ে’ উচ্ছেদ অভিযান শুরু হয়। এ সময় সিডিএ চেয়ারম্যান প্রকৌশলী নুরুল করিমসহ উর্দ্ধতন কমকর্তারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন।

অভিযানে যাওয়া চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা পেয়ে আমরা উচ্ছেদ অভিযান শুরু করেছি। পাহাড় কেটে পরিবেশের ক্ষতি করায় আমরা নির্মাণাধীন ভবনটি ভাঙার কাজ শুরু করেছি।

জানা গেছে, ‘স্বপ্নীল ফ্যামিলি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’ নামে একটি বেসরকারি আবাসন কোম্পনি সেখানে ভবন নির্মাণের কাজ করছে। ১২৭ ফুট উঁচু পাহাড়টির ভবন নির্মাণের অংশ ক্রয়সূত্রে মালিকানায় আছে চট্টগ্রামের ব্যবসায়ী সজল চৌধুরী, খোকন ধর, হিমেল দাশ, সুভাষ নাথ, রনজিত কুমার দে, রূপক সেনগুপ্তসহ ৯২ জন। ২০১৯ সালে কেনার পর ২০২৩ সালে সিডিএ’র ইমারত নির্মাণ কমিটির কাছ থেকে তিনটি বেজমেন্ট ও ১৪ তলাসহ মোট ১৭ তলা ভবনের অনুমোদন নেওয়া হয়। সিডিএ ৩০ কাঠার জমিতে স্থাপনা নির্মাণের ক্ষেত্রে ৬০ শতাংশ জায়গা খালি রেখে ভবন নির্মাণের শর্ত দিয়েছিল। পাশাপাশি পাহাড়ের কোনও ক্ষতি না করে স্থাপনা নির্মাণের শর্ত ছিল অনুমোদনে।

কিন্তু সিডিএ’র এসব শর্ত না মেনে টিনের বেস্টনি দিয়ে লোকচক্ষুর আড়ালে পাহাড় কাটে ভবন মালিক। পাশাপাশি শর্ত না মেনে পুরো জায়গাজুড়ে ভবন নির্মাণকাজ শুরু হয়। ইতোমধ্যে বেজমেন্টসহ ভবনের ছয়তলা নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।

এ অবস্থায় সিডিএ তাদের ভবন নির্মাণ বন্ধ রাখার আদেশ দিলে এর বিরুদ্ধে ২০২৪ সালের ৩০ এপ্রিল ভবন মালিকরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দাখিল করেন। হাইকোর্ট সিডিএর আদেশের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিলে তারা কাজ চালিয়ে যেতে থাকে। সিডিএ চেম্বার জজ আদালতে আপিল করে। আপিল বিভাগ রোববার (২০ এপ্রিল) শুনানি শেষে হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞার আদেশ আট সপ্তাহের জন্য স্থগিত করেন।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন