সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তোলপাড়ের পর দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) মামলায় অভিযুক্তদের চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের দায়িত্ব থেকে সরাতে শুরু করেছে মন্ত্রণালয়।
সংস্থাটির অথরাইজড অফিসার-১ মোহাম্মদ হাসানকে সরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজকে।
বুধবার (১৬ এপ্রিল) গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ-১ এর প্রশাসন শাখা-৬ একটি প্রজ্ঞাপন জারি করে এ আদেশ দেন। সরিয়ে দেওয়া নির্বাহী প্রকৌশলী দুদকের মামলায় অভিযুক্ত। এর আগে গত বছরের ১১ নভেম্বর তাকে দুর্নীতির মামলায় আসামি হওয়ায় সাময়িক বরখাস্ত করে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ। সংস্থাটির সচিব রবীন্দ্র চাকমা তাকে সাময়িক বরখাস্ত করে অফিস আদেশ জারি করেন।

এদিকে যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারিকৃত এ আদেশ অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও জানানো হলেও এখনও অথরাইজড অফিসার-১ হিসেবে দায়িত্ব বুঝে পাননি নির্বাহী প্রকৌশলী কাজী কাদের নেওয়াজ।
মোহাম্মদ হাসান ছাড়াও সিডিএর প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) কাজী হাসান বিন শামস, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-২ এ. এ. এম. হাবিবুর রহমান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. মনজুর হাসান, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মো. আশরাফুল ইসলাম, নির্বাহী প্রকৌশলী আহম্মদ মঈনুদ্দিন, নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান, নির্বাহী প্রকৌশলী রাজীব দাশ, অথরাইজড অফিসার-১ মোহাম্মদ হাসান, নির্বাহী প্রকৌশলী আ. হ. ম. মিছবাহ উদ্দিন, সহকারী অথরাইজড অফিসার মুহাম্মদ ইলিয়াছ আকতার, সহকারী প্রকৌশলী/সহকারী অথরাইজড অফিসার মোহাম্মদ ওসমান, সহকারী প্রকৌশলী মুহাম্মদ হামিদুল হক, এস্টিমেটর রুপন কুমার চৌধুরী, এস্টিমেটর সৈয়দ গোলাম সরোয়ার এবং সহকারী প্রকৌশলী মো. জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা চলমান আছে।
সম্প্রতি আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম আল জাজিরার অনুসন্ধানী সাংবাদিক জুলকার নাইন সায়েরের এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে বিষয়টি উঠে আসে। পরবর্তীতে এক্সেও (সাবেক টুইটার) পোস্ট করেন তিনি।
শুক্রবার রাতে দেওয়া এক ফেসবুক পোস্টে সায়ের লিখেন, “আত্মস্বীকৃত দুর্নীতিবাজ; কালুরঘাট সড়ক প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ এর চার্জশিটভূক্ত আসামি কাজী হাসান বিন শামস বর্তমানে চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত) ও তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী-১। তার বিরুদ্ধে দুদকের মামলা এখনো চলমান। তা সত্বেও তিনি চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের শীর্ষ কর্মকর্তা! অবাক কাণ্ড হলো চউকের ১৫ জন কর্মকর্তার বিরুদ্ধে বছরের পর বছর দুর্নীতির মামলা চলমান থাকার পরেও তারা চাকরি করেই যাচ্ছেন এবং দুদকের মামলায় কোন সিদ্ধান্ত হচ্ছে না। অকল্পনীয় সব ব্যাপার!”