২২শে এপ্রিল, ২০২৫

২ নম্বর গেটে ২ ঘণ্টার ‘বাংলা ব্লকেড’, যাত্রীদের রোষানলে সরে গেল শিক্ষার্থীরা

শেয়ার করুন

জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ প্রমোশন কোটা বাতিলের দাবিতে নগরের দুই নম্বর গেট এলাকায় সড়ক অবরোধ করে ‘বাংলা ব্লকেড’ কর্মসূচি শুরু করে চট্টগ্রামের পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা। এতে জিইসি-মুরাদপুর, বহদ্দারহাট, ষোলশহর, অক্সিজেনসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে তীব্র যানজটে পড়েন সাধারণ মানুষ। বিশেষ করে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী ও রোগীদের ভোগান্তি পোহাতে হয়। পরে সড়ক অবরোধ করে যাত্রী এবং পরিবহন শ্রমিকদের রোষানলে পড়ে দুই ঘণ্টা পর শিক্ষার্থীরা তাদের অবস্থান কর্মসূচি তুলে নেয়।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের দাবি— ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টররা কারিগরি ব্যাকগ্রাউন্ডের নন। অধিকাংশই অষ্টম শ্রেণি কিংবা এসএসসি পাস, যাদের মূল দায়িত্ব ল্যাব সহকারী হিসেবে কাজ করা। তাদের শিক্ষক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হলে শিক্ষার্থীরা প্রকৃত কারিগরি শিক্ষা থেকে বঞ্চিত হবেন বলে অভিযোগ তাদের।

ছাত্রদের ছয় দফা দাবিগুলো হলো— জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে শিক্ষাগত যোগ্যতা বাধ্যতামূলক ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকতে হবে, ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরসহ সকল পদে কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত জনবল নিয়োগ দিতে হবে, পলিটেকনিক্যাল ইনস্টিটিউটের ছাত্রদের জন্য সব বিভাগীয় শহরে প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয় অতি শিগগিরই স্থাপন করতে হবে, কারিগরি শিক্ষা বৃদ্ধির লক্ষ্যে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষক পদে ডিপ্লোমা প্রকৌশলীর চাকরির আবেদন বাস্তবায়ন করতে হবে, ডিপ্লোমা প্রকৌশলীদের জন্য প্রাইভেট সেক্টরে সর্বনিম্ন বেতন স্কেল নির্ধারণ করে দিতে হবে এবং জুনিয়র ইনস্ট্রাক্টর পদে ক্রাফট ইনস্ট্রাক্টরদের ৩০ শতাংশ কোটা অনতিবিলম্বে বিলুপ্ত করতে হবে।

যানজট পরিস্থিতি নিয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের ট্রাফিক বিভাগের উত্তর জোনের উপ-কমিশনার (ডিসি) নেছার উদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘শিক্ষার্থীরা রাস্তা থেকে সরে গেছে। আশা করছি, আধা ঘণ্টার মধ্যে যানজট পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে।’

এর আগে, দুপুরে চট্টগ্রাম পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থীরা নিয়োগবিধি ও ডিপ্লোমা শিক্ষার স্বীকৃতির দাবিতে রাস্তায় নামে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন