২১শে এপ্রিল, ২০২৫

ইসরায়েলি পণ্য রাখায় কক্সবাজারে ৫ রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর

শেয়ার করুন

ফিলিস্তিনে ইসরায়েলি হামলার প্রতিবাদে ‘ওয়ার্ল্ড স্টপস ফর গাজা’ কর্মসূচির সঙ্গে সংহতি জানিয়ে কক্সবাজারে বিক্ষোভ মিছিল থেকে ৫টি রেস্টুরেন্টে ভাঙচুরের চালিয়েছে সাধারণ জনতা। অভিযোগ, সেসব রেস্টুরেন্টে ইসরায়েলী কোমল পানীয় রাখা হয়েছিল।

সোমবার (৭ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

কক্সবাজার রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জাবেদ ইকবাল জানান, ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগে কেএফসি, পিৎজা হাটের পাশাপাশি কাঁচা লংকা, পানসি রেস্টুরেন্ট এবং মেরিন ফুড রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়েছে।

তিনি বলেন, আমরা ইসরায়েলের পণ্য যত সম্ভব বর্জন করছি। তারা যদি সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলতে বলত তাহলে সুন্দর একটা সমাধান হতো। ভাঙচুর চালিয়ে পর্যটকদের আহত করা অশনি সংকেত।

কক্সবাজার পিৎজা হাটের ইনচার্জ পারভেজ মিয়া বলেন, মূলত কেএফসির ওপর মানুষের ক্ষোভ বেশি। তারা হঠাৎ মিছিল থেকে ইট পাটকেল মারা শুরু করে কেএফসি লক্ষ্য করে। তবে কেএফসি ওপরের ফ্লোরে হওয়ার এগুলো এসে পড়ে পিৎজা হাটে। আমাদের বেশকিছু কাঁচ এবং যন্ত্রপাতি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমরা আপাতত রেস্টুরেন্ট বন্ধ রেখেছি।

কাঁচা লংকা রেস্টুরেন্টের ম্যানেজার ফিরোজ আহমেদ বলেন, রেস্তোরাঁর সাইনবোর্ডে সেভেন আপের বিজ্ঞাপন ছিল। এই অজুহাতে আমাদের রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হয়। আমরাও তো ফিলিস্তিনকে সাপোর্ট করি। আমাদের বললে আমরা সাইনবোর্ড সরিয়ে ফেলতাম। কেন রেস্টুরেন্টে ভাঙচুর চালানো হলো।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ইলিয়াস খান জানান, পুলিশ মিছিলের আগে পিছে ছিল। কিছু অতি উৎসাহী মানুষ ইসরায়েলি পণ্য রাখার অভিযোগে কয়েকটি রেস্টুরেন্টের সাইনবোর্ড নামিয়ে ফেলেছে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন