বিশ্বের ১৪টি আট হাজার মিটার পর্বত রয়েছে, তার মধ্যে ১০ম মাউন্ট অন্নপূর্ণা-১। এর মধ্যে অন্য ১৩টির মধ্যে সবচেয়ে বিপদজ্জনক এটি। এবার সেই অন্নপূর্ণা-১ অভিযানে যাচ্ছেন মাউন্ট এভারেস্ট ও মাউন্ট লোৎসে বিজয়ী চট্টগ্রামের সন্তান পর্বতারোহী ডা. বাবর আলী।
আজ শনিবার (২২ মার্চ) চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবে পর্বতারোহণ ক্লাব ‘ভার্টিক্যাল ড্রিমার্স’ আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়।
এ সময় বাবর আলী বলেন, এভারেস্ট-লোৎসে অভিযানের পর থেকেই বিশ্বের ১৪টি আট হাজার মিটার পর্বত আরোহণের ইচ্ছা পোষণ করছি আমি। অন্নপূর্ণা-১ অভিযান সে লক্ষ্যের দিকে আরো একটি পদক্ষেপ। ধীরে ধীরে বাকি পর্বতগুলোর চূড়া ছুঁতে চেষ্টা করব। তবে অন্নপূর্ণা-১ অভিযান নিঃসন্দেহে চ্যালেঞ্জিং। সামিটের সাথে পর্বতে প্রাণ হারানো আরোহীদের অনুপাত লক্ষ্য করলেই এই পর্বতের চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ধারণা করা যায়।

বাবর আলী বলেন, বেশিরভাগ পর্বতারোহীই বিশ্বের উঁচু সব পর্বতে দেশের পতাকা হাতে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখেন। আমিও এর ব্যতিক্রম নই। আমি সব সময় চ্যালেঞ্জিং আর নতুন কিছু করতে পছন্দ করি বলেই অন্নপূর্ণা-১ এর মতো শৃঙ্গ বেছে নিয়েছি।
সংবাদ সম্মেলনে ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের প্রেসিডেন্ট এবং অভিযানের ব্যবস্থাপক ফাহান জামান জানান, আগামী ২৪ মার্চ সোমবার এ অভিযানের উদ্দেশ্যে দেশ ছাড়বেন বাবর। পর্বতারোহণের প্রয়োজনীয় অনুমতি ও নানান সরঞ্জাম কেনার কাজ শেষ করে নেপালের রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখারা হয়ে তাতোপানির উদ্দেশ্যে রওনা হবেন তিনি। চারদিনের ট্রেক শেষে পৌঁছাবেন অন্নপূর্ণা নর্থ বেস ক্যাম্পে। মূল অভিযান শুরু হবে সেখান থেকেই।
তিনি আরো জানান, বেস ক্যাম্প থেকে উপরের ক্যাম্পগুলোতে ওঠানামা করে শরীরকে অতি উচ্চতার সাথে খাপ খাইয়ে নেবেন এই পর্বতারোহী। পুরো অভিযানে সময় লাগবে প্রায় ৪০ দিন। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে এপ্রিল মাসের ৩য় সপ্তাহ কিংবা শেষ সপ্তাহে চূড়ায় আরোহণ হতে পারে ।
এ সময় বক্তব্য রাখেন ভার্টিক্যাল ড্রিমার্সের উপদেষ্টা শিহাব উদ্দীন এবং পৃষ্ঠপোষক প্রতিষ্ঠান ভিজুয়াল নিটওয়ারস লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ নুর ফয়সাল।
এবারের অভিযানে পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বাবরের পাশে দাঁড়িয়েছেন ফ্লাইট এক্সপার্ট এবং এভারেস্ট ফার্মাসিউটিক্যাল। এছাড়াও দেশের পর্বতারোহণ মহলের পরিচিত মুখ ও পর্বত অনুরাগীরাও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন। শেষে বাবরের হাতে জাতীয় পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
