কক্সবাজারের মহেশখালীর সোনাদিয়ার পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় ইকো-ট্যুরিজম পার্ক স্থাপনের জন্য বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষকে (বেজা) বরাদ্দ দেওয়া জমি বন বিভাগে হস্তান্তরের উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে অঞ্চলটিকে সংরক্ষিত এলাকা হিসেবে ঘোষণা করা হবে বলে জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৭ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়েরর এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে এ কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে।

এ লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কক্সবাজারের জেলা প্রশাসককে অনুরোধ করেছেন বেজার পরিচালক (বিনিয়োগ উন্নয়ন ও মনিটরিং-১) শাহীন আক্তার সুমী।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ইকো পার্ক স্থাপনে বরাদ্দ দেওয়া জমিতে অবৈধভাবে গাছ কাটা, চিংড়ি চাষের ঘের নির্মাণসহ পরিবেশের জন্য ক্ষতিকর নানা কার্যক্রম চলেছে। এতে দ্বীপের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্যের মারাত্মক ক্ষতি হয়েছে। এ কারণে ওই জমি বন বিভাগের কাছে হস্তান্তরের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এ উদ্যোগের আওতায় ৯,৪৬৭ একর বনভূমির পরিবেশ পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেওয়া হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উল্লিখিত কার্যক্রমের আওতায় দখল করা জমিগুলো মুক্তকরণ, খালের মুখ ও শাখা-শাখার বাঁধ সরিয়ে জোয়ারের পানি প্রবেশ সুগম করা, বালিয়াড়ী পুনরুদ্ধার ও সৈকত সংরক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ, জীববৈচিত্র্য পুনরুদ্ধারে বিভিন্ন ম্যানগ্রোভ ও নন-ম্যানগ্রোভ, কাউ, কেয়া, নিশিন্দা, নারিকেল, তাল ও ঘটিভাঙ্গার সঙ্গে সংযোগকারী রাস্তায় বনায়ন করা হবে হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়াও অবক্ষয়িত ম্যানগ্রোভ বন পুন:প্রতিষ্ঠা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জনগণের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করে ৯,৪৬৭ একর বনভূমিকে সংরক্ষিত এলাকা ঘোষণা করা হবে। ফলে জীববৈচিত্র্য সংরক্ষিত হবে, অবৈধ কার্যক্রম বন্ধ হবে। পাশাপাশি প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবিলায় ইতিবাচক পরিবর্তন আসবে।