১৪ই মার্চ, ২০২৫

পিডিবিতে দুদুকের অভিযান— কর্মচারীর পেনশনের ১৫ লাখ টাকা জালিয়াতির সত্যতা মিলেছে

শেয়ার করুন

চট্টগ্রামের লোহাগাড়ার বাসিন্দা মোজাফফর আহমদ চট্টগ্রাম বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) ইলেকট্রিশিয়ান পদে কর্মরত ছিলেন। ১৯৯৯ সালে সে পদে কর্মরত অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন। ২০১১ উত্তরাধিকার সূত্রে তিন ছেলের মধ্যে সবচেয়ে ছোট ছেলে মায়ের কাছ থেকে ক্ষমতা পেয়ে পেনশনের ১৫ লাখ টাকা উত্তোলন করেন। অথচ, সেই ছেলের তখন বয়স ছিল মাত্র ১৪ বছর। একজন অপ্রাপ্তবয়স্ক উত্তরাধিকার কিভাবে বাবার পেনশনের টাকা উত্তোলন করেছে, এমন প্রশ্ন তুলে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়ের করেছেন অন্য দুই সন্তান। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে পিডিবি কার্যালয়ে অভিযান চালায় দুদক।

অভিযানের পর গণমাধ্যমকে দুদক জানিয়েছে, ২৬ বছর আগে মারা যাওয়া এক কর্মচারীর পেনশনের টাকা নিয়ে জালিয়াতির অভিযোগ অনুসন্ধানে অভিযান চালিয়ে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।

বৃহস্পতিবার (১৩ মার্চ) দুপুরে নগরের আগ্রাবাদে পিডিবি কার্যালয়ে পরিচালিত এ নেতৃত্ব দেন দুদকের জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-১ এর সহকারী পরিচালক সাঈদ আলম।

তিনি জানান, সম্প্রতি মৃত মোজাফফরের বঞ্চিত দুই ছেলে দুর্নীতি দমন কমিশনে এ বিষয়ে অভিযোগ করেন। এতে পিডিবি কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পিতার পেনশনের টাকা জালিয়াতির মাধ্যমে তাদের অপ্রাপ্তবয়স্ক ভাইকে দিয়ে উত্তোলন করে আত্মসাতের অভিযোগ করা হয়।

অভিযানে যাওয়া দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এর উপ সহকারী পরিচালক আপেল মাহমুদ গণমাধ্যমকে বলেন, মৃত কর্মচারীর স্ত্রীর তার অপ্রাপ্তবয়স্ক ছেলেকে টাকা উত্তোলনের ক্ষমতা প্রদান সংক্রান্ত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করেছি। এতে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা মিলেছে। এখন সংস্থার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের যোগসাজশের যে অভিযোগ করা হয়েছে, সেটা আমরা তদন্ত করে দেখব। আমরা রেকর্ডপত্রগুলো সংগ্রহ করেছি।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন