১৩ই মার্চ, ২০২৫

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ

শেয়ার করুন

আজ এক ফেসবুক পোস্টে নিজের এই সিদ্ধান্তের কথা জানান তিনি।

অভিজ্ঞ এই ব্যাটার লিখেছেন, ‘সকল প্রশংসা মহান সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ্‌র। আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাকে সবসময় সমর্থন করায় আমার সতীর্থ, কোচ এবং বিশেষ করে আমার ভক্তদের ধন্যবাদ জানাই। ‘

‘আমার অভিভাবকদের, বিশেষ করে আমার শ্বশুর এবং আমার ভাই এমদাদ উল্লাহকে অনেক ধন্যবাদ, যিনি শৈশব থেকে আমাকে কোচ ও মেন্টরের মতো পাশে থেকেছেন। এবং সবশেষে আমার স্ত্রী ও সন্তানদের ধন্যবাদ, যারা সব পরিস্থিতিতে আমাকে সাপোর্ট দিয়েছে। আমি জানি, আমার ছেলে রাঈদ আমাকে লাল-সবুজের জার্সিতে আমাকে মিস করবে। ‘

‘সবকিছু পারফেক্টভাবে শেষ হয় না, কিন্তু সামনে এগিয়ে যেতে হয়। শান্তি…। আলহামদুলিল্লাহ্‌। আমার দল ও বাংলাদেশ ক্রিকেটকে শুভকামনা। ‘

চ্যাম্পিয়নস ট্রফির পর থেকে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মুশফিকুর রহিমের অবসরের গুঞ্জন শোনা যাচ্ছিল। মুশফিক কিছুদিন আগেই ফেসবুক স্ট্যাটাসের মাধ্যমে ওয়ানডেকে বিদায় বলে দিয়েছেন। এরপর আজ এলো মাহমুদউল্লাহর ঘোষণা।

যদিও বিসিবি সূত্রে জানা গিয়েছিল, মাঠ থেকেই বিদায় নিতে চান মাহমুদউল্লাহ। বিসিসিও সেভাবেই বিদায় দিতে চেয়েছিল তাকে। জাতীয় দলের মিডল অর্ডারে শক্তি খুঁটি হয়ে দীর্ঘদিন খেলে যাওয়া এই ব্যাটার টেস্ট ও টি-টোয়েন্টি ছেড়েছিলেন মাঠ থেকেই। কিন্তু ওয়ানডে থেকে তার বিদায় হলো মাঠের বাইরে থেকেই।

২০২৩ বিশ্বকাপেই মূলত নিজের সামর্থ্যের শেষ প্রদর্শনী করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। ব্যাট হাতে ধারাবাহিক পারফরম্যান্স করেছিলেন তিনি, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে মুম্বাইয়ে দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরিও উপহার দেন। এরপর আফগানিস্তান ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টানা ভালো খেলেও জায়গা ধরে রাখা কঠিন হয়ে ওঠে। বিসিবির ভবিষ্যৎ পরিকল্পনায় যে তিনি নেই, সেটাও স্পষ্ট হয়ে যায়।

ফর্মের ঘাটতি সত্ত্বেও চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে সুযোগ পেয়েছিলেন মাহমুদউল্লাহ। কিন্তু আলো ছড়াতে পারেননি। পরে কেন্দ্রীয় চুক্তিতে সুযোগ পেলেও নাম প্রত্যাহার করে নেন।

৩৯ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার হলেন একমাত্র বাংলাদেশি খেলোয়াড়, যিনি ওয়ানডে বিশ্বকাপে তিনটি সেঞ্চুরি করেছেন, যার মধ্যে দুটি সেঞ্চুরি ২০১৫ সালের বিশ্বকাপে এবং একটি সেঞ্চুরি ২০২৩ সালের বিশ্বকাপে। এই অভিজ্ঞ ক্রিকেটার বাংলাদেশকে ২৩৯টি ওয়ানডে, ৫০টি টেস্ট এবং ১৪১টি টি-২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রতিনিধিত্ব করেছেন।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন