গত ফেব্রুয়ারিতে শুরু হওয়া অপারেশন ডেভিল হান্ট কর্মসূচি চট্টগ্রামে এখনো চলমান আছে। প্রতিদিন গ্রেফতার হচ্ছে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ডজন ডজন নেতাকর্মী।
তারই অংশ হিসেবে গত ২৪ ঘণ্টায় শহরের বিভিন্ন থানায় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ৩০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ।
শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) রাত ১২টা থেকে শনিবার (১ মার্চ) রাত ১২টা পর্যন্ত নগরের বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন, চট্টগ্রাম মহানগর বঙ্গবন্ধু সৈনিক লীগ সাবেক সভাপতি মো. মাহাবুবুর রহমান (৫২),ফাতেমা বেগম (৩৮), মো. আতিকুর রহমান (৩২), মো. আরিফ (২৯), মো. জাহাঙ্গীর আলম (৪৩), সুমন প্রকাশ আনোয়ার (৩০), অনু হাসান প্রকাশ অনু (২৫),খায়ের মোহাম্মদ রাহুল (২৬), মো. আমির হোসেন আকাশ প্রকাশ বাবু (২৫), মো. ফয়সাল (৩৩), আবলু বশর (৫২), মো. শাকিল হোসেন (২৭), মো. এরমান (২৫), মো. মানিক (৪৫), মো. নজরুল ইসলাম প্রকাশ নাজু মিয়া (২৬), তৌহিদুল ইসলাম তানভীর (২০), মোহাম্মদ শুভ (২৩), মো. ফারুক রহমান (৩৪), মোহাম্মদ জুনায়েদ (২৩), আল আমিন (২৫),মো. রনি (২৪), মো. জাহিদুল ইসলাম সাকিব (২৫), ১৪ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাকদ মো. নিজাম উদ্দিন (৫২), মো. মাঈনুর ইসলাম মামুন প্রকাশ রনি (২০), মো. জামাল (২৬), কর্ণফুলী থানার বড় উঠান ইউনিয়ন যুবলীগ নেতা মোহাম্মদ সরওয়ার (৩৭) মো. আমিন গাজী (২৪), মো. ইমাম হোসেন প্রকাশ আরকাব (২১), মো. রাব্বি (২২) ও মো. মনির হোসেন আবির (৩৫)।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. ইমরান হোসেন জানান, আসামিদের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার ওপর হামলাসহ বিশেষ ক্ষমতা আইনে ও সন্ত্রাসীবিরোধী আইনে একাধিক মামলা রয়েছে।