১৪ই মার্চ, ২০২৫

প্রকাশকদের চরম হতাশা নিয়ে পর্দা নামল চট্টগ্রাম বইমেলার, অংশগ্রহণ সনদেও ভুল

শেয়ার করুন

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের আয়োজনে ২০১৯ সাল থেকে সম্মিলিতভাবে চট্টগ্রামে ‘অমর একুশে বইমেলা’ হয়ে আসছে। অন্যান্য বছর বইমেলা আয়োজন ও বিক্রিবাট্টা আশানুরূপ হলেও এবার ছিল যেমন-তেমন। ব্যাপক অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি নানা কারণে ছিল ক্রেতা বা দর্শনার্থী ক্ষরা। ফলে প্রকাশকরা চরম হতাশা প্রকাশ করেছেন। আবার মেলায় অংশগ্রহণ সনদেও ভুল করেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন। এই নিয়েও ক্ষোভও ঝেড়েছেন অনেক প্রকাশক।

এর আগে গত ১ ফেব্রুয়ারি (শনিবার) নগরের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামের জিমনেশিয়াম মাঠে ১৪০টি স্টল নিয়ে শুরু হয়ে শেষে হয়েছে শুক্রবার (২৮ ফেব্রুয়ারি)।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে কয়েকজন প্রকাশক বলেছেন, এবার পরিচালনা পর্ষদের অবস্থা ছিল বেশ করুণ। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ছিল অব্যবস্থাপনায় ভরপুর। এছাড়া কম প্রচারণা, রাজনৈতিক পটপরিবর্তন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি, সব মিলিয়ে আমরা পড়েছি বেকায়দায়। যা আশা করেছিলাম তার আশেপাশেও বিক্রি করতে পারিনি এবার।

এবার চট্টগ্রাম বইমেলায় অংশগ্রহণ করা একাধিক প্রকাশকের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শেষ দিন পর্যন্তও মেলার পরিস্থিতি ছিল প্রথম দিনের মতোই। ছিল না বিক্রিবাট্টা। স্টলে থাকা কর্মচারীদের বেতন-ভাতার খরচই উঠেনি।

প্রকাশকরা মনে করছেন— রাজনৈতিক পটপরিবর্তনে কাগজ-কালীর দাম বেড়ে যাওয়া, কম প্রচারণা এবং আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি মেলায় দর্শনার্থী কম থাকার একটি বড় কারণ।

যদিও আয়োজকদের দাবি, পুরো মাসে মেলায় আড়াই কোটি টাকার বই বিক্রি হয়েছে। এছাড়াও মেলার শেষ দিনেই বিক্রি হয়েছে প্রায় ২৮ লাখ টাকার বই।

এ প্রসঙ্গে প্রথমসারির প্রকাশকদের দাবি, বিক্রির পরিমাণ তার ধারেকাছেও নেই।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি মো. সাহাব উদ্দীন হাসান বাবু গণমাধ্যমকে বলেন, বিক্রি প্রত্যাশা অনুযায়ী হয়নি। ভবিষ্যতে আরও উন্নত ব্যবস্থাপনা ও প্রচারণার মাধ্যমে বইমেলাকে সফল করতে আমরা বেশ আশাবাদী।

সনদে ভুল থাকা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বই মেলার সব কিছুই হয়েছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের ত্বত্তাবধানে। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন আমাদের যে সনদ পাঠিয়েছেন আমরা ওটাই সকলকে দিয়েছি।

সনদে ভুল হলো কিভাবে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের প্রধান শিক্ষা কর্মকর্তা ড. কিসিঞ্জার চাকমা বলেন, হয়তো প্রিন্টিং মিস্টেক হয়েছে। এখনো সুযোগ আছে, প্রয়োজনে সংশোধন করা হবে।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন