নাছির উল আলম চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন সাংবাদিক ইউনিয়ন এবং চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সাংবাদিক নাছির উল আলমের আকস্মিক মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমে এসেছে চট্টগ্রামের সাংবাদিক অঙ্গনে।
নাছির উল আলমের সহকর্মীরা ছাড়াও চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব, চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়ন, চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন শোক প্রকাশ করেছেন।
মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) নাছির উল আলমের মৃত্যুতে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য সচিব জাহিদুল করিম কচি এবং শৃঙ্খলা উপকমিটির আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা মাঈনুদ্দিন কাদেরী শওকত ও ক্লাবের সিনিয়র সদস্য শামশুল হক হায়দরী, অন্তর্বর্তী কমিটির সদস্য মুস্তফা নঈম ও গোলাম মাওলা মুরাদ যৌথ বিবৃতি প্রদান করেন। বিবৃতিতে তাঁরা মরহুম নাসিরুল আলমের রুহের মাগফেরাত কামনা করে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।

এক শোকবার্তায় চট্টগ্রাম সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি রিয়াজ হায়দার চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক সবুর শুভ শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেন। সিইউজে নেতৃবৃন্দ বলেন, নাছির উল আলম একজন অকুতোভয় ও সাহসী সাংবাদিক ছিলেন। তার সাংবাদিকতার মাধ্যমে সমাজ ও দেশকে সমৃদ্ধ করেছেন।
আরেক শোকবার্তায় মরহুমের আত্মার মাগফেরাত কামনা করেছেন চট্টগ্রাম টিভি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান এবং সাধারণ সম্পাদক মিয়া আলতাফ।
মহানগর নিউজের ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক সরোজ বড়ুয়া শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা জানান।
কর্মজীবনে তিনি, স্যাটেলাইট টিভি চ্যানেল দিগন্ত টেলিভিশন, যমুনা টেলিভিশন এবং অনলাইন নিউজ পোর্টাল মহানগর নিউজের সাবেক ভিডিওগ্রাফার ছিলেন।
আজ মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় বদরশাহ মসজিদ চত্বরে জানাজা শেষে বদর আউলিয়ার মাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন, সাংবাদিক জাহিদুল করিম কচিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে কর্মরত তার সহকর্মীরা।

প্রসঙ্গত, সোমবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে নগরের আসাদগঞ্জ নিজ বাসভবনে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২ ছেলেসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে যান।