১৪ই মার্চ, ২০২৫

আ.লীগের এমপি ‘কোটায়’ আনা সেই ২৪ বিলাসবহুল গাড়ির নিলাম আগামীকাল

শেয়ার করুন

শুল্কমুক্ত সুবিধায় ২৪টি বিলাসবহুল গাড়ি আমদানি করেছিল আওয়ামী লীগের এমপিরা। গত জুলাই অভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর গাড়িগুলো আটকে দেয় কাস্টমস কর্তৃপক্ষ। এরপর থেকে গাড়িগুলো চট্টগ্রাম বন্দরে পড়ে আছে। অবশেষে আগামীকাল উম্মুক্ত নিলামে উঠছে গাড়িগুলো।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস জানিয়েছে, আগামীকাল সোমবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) হবে নিলাম কার্যক্রম। দুপুর ২টায় উন্মুক্ত করা হবে দরপত্র। চট্টগ্রাম ও ঢাকায় এসব গাড়ি কিনতে দরপত্র জমা দিয়েছিলেন বিডাররা। শেষ পর্যন্ত এসব গাড়ির মালিক কারা হচ্ছেন, তা জানা যাবে কাল।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন গণমাধ্যমকে জানান, গাড়িগুলো নিলামে কিনতে আগ্রহীরা চট্টগ্রাম কাস্টমসের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে অনলাইনে গতকাল রোববার পর্যন্ত দরপত্র দাখিল করেন। আজ সোমবার দুপুর ২টায় দরপত্র উন্মুক্ত করা হবে।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ২৭ জানুয়ারি সকাল ৯টা থেকে অনলাইনে দরপত্র দাখিল প্রক্রিয়া শুরু হয়। মাঝে গত ২ থেকে ৪ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত দুদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত গাড়িগুলো দেখার সুযোগ পান আগ্রহীরা। এরই মধ্যে নিলামযোগ্য অনেক গাড়ি কাস্টমসের অকশন শেডে আনা হয়েছে।

কাস্টমস সূত্র জানিয়েছে, শুল্কমুক্ত সুবিধায় আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্যরা ২৪টি নতুন ল্যান্ড ক্রুজার এনেছিলেন। ল্যান্ড ক্রুজার গাড়ির প্রতিটির সংরক্ষিত মূল্য ধরা হয়েছে ৯ কোটি ৬৭ লাখ ৩ হাজার ৮৯৯ টাকা।

সম্প্রতি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের কার শেড পরিদর্শন করে দেখা যায়, বিডার ছাড়াও ব্যক্তিপর্যায়ের অনেকে কার শেডের সামনে নিলামে তোলা গাড়িগুলো দেখতে ভিড় করেন। বন্দরের নিরাপত্তাকর্মীরা ক্যাটালগসহ তাদের প্রবেশ করান। এরপর আগ্রহীরা শত শত গাড়ির ভিড় থেকে গাড়ির ক্যাটালগ দেখে নিলামের গাড়িগুলো চিহ্নিত করে দেখেন।

চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের নিলাম শাখার সহকারী কমিশনার মো. সাকিব হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের কাছে সাবেক সংসদ সদস্যদের গাড়ি ছিল মোট ৩২টি। এবার ৩২টি গাড়ি নিলামে তোলার কথা। তবে সাতটি গাড়ি যারা এনেছেন, তাদের কারও ঠিকানায় ও কারও আনা গাড়ির চেসিস নম্বরে ভুল থাকায় আইনগতভাবে পিছিয়ে যায়। এ ছাড়া অন্য একটি গাড়ি শুল্কায়নের নির্ধারিত মূল্যে একজন সাবেক সংসদ সদস্য নিয়ে যান। তাই আমরা আশা করছি, সংরক্ষিত মূল্য বেশি ধরা হয়নি। বিডাররা আগ্রহ রাখবেন। যদি বেশি হতো, তাহলে শুল্কায়ন শাখার মূল্যে এ গাড়ি নিতো না।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন