১৪ই মার্চ, ২০২৫

সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে খাতুনগঞ্জের ব্যবসায়ী হাতেনাতে ধরা!

শেয়ার করুন

পর্যাপ্ত উৎপাদন এবং সরবরাহের পরও বাজারে সয়াবিন তেলের কৃত্রিম সংকট তৈরি করেছে খাতুনগঞ্জের কিছু অসাধু ডিলার ও ব্যবসায়ী। এমন খবর ভোক্তা অধিকারের কাছে ছিল। ভোক্তা অধিকার কৌশল অবলম্বন করে সেখানকার কিছু দোকানে গোপনে লোক পাঠায়। সয়াবিন তেল ৪/৫ দিন ধরে নেই জানতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে অভিযান চালালে গোমর ফাঁস হয়ে যায়। কার্টন এবং বস্তায় বস্তায় সয়াবিন থাকার পরও কৃত্রিম সংকট তৈরি করায় দুই প্রতিষ্ঠানকে হাতেনাতে ধরা হয় এবং জরিমানা আদায় করা হয়।

আজ বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে চালানো এ অভিযানে নেতৃত্ব দেন ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর চট্টগ্রামের বিভাগীয় পরিচালক ফয়েজ উল্লাহ।

পরে সাংবাদিকদে তিনি বলেন, আমাদের কাছে তথ্য ছিল, পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকার পরও বোতলজাত তেল বাজারে পাওয়া যাচ্ছিল না। কোম্পানিগুলো তেল সরবরাহ করছে ডিলারের কাছে। কিন্তু ডিলাররা যথাযথভাবে দোকানগুলোতে তেল সরবরাহ করছে না। থাকার পরেও তারা বলছে তেল নেই। জড়িতদের খুঁজে বের করতে আমরা কিছুটা কৌশল অবলম্বন করি।

তিনি বলেন, প্রথমে মেসার্স আল আমিন স্টোর নামে একটি প্রতিষ্ঠানে আমরা আমাদের একজনকে তেল আছে কিনা খোঁজ নিতে পাঠাই। তারা তখন বলেছে তেল নেই। পরে ওই প্রতিষ্ঠানে আমরা গিয়ে তেল পেয়েছি। তাদের ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

সাতকানিয়া স্টোর নামের এক পুষ্টি তেলের ডিলারের কারচুপির প্রমাণ পেয়েছেন জানিয়ে তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠানটির কাছে গিয়ে আমরা জিজ্ঞেসে করেছি তেল আছে কিনা। তারা আমাদের জানায়, তাদের কাছে কাছে তেল নেই। কিন্তু আমরা কোম্পানির কাছ থেকে জানতে পেরেছি, ১৩০০ কার্টুন তেল উনাদের সরবরাহ করেছে। পরে মালিক স্বীকার করেন তাকে ৬০০ কার্টুন তেল সরবরাহ করা হয়েছে। এর মধ্যে তিনি ৪০ কার্টুন তেল সরবরাহের হিসেব আমাদের দিতে পেরেছেন। বাকিগুলোর হিসেব দিতে পারেননি। তার মানে তিনি এখানে কারচুপি করেছেন। তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

যদিও পরিবেশকদের দাবি, দোকানে যেসব তেলের বোতল অধিদপ্তর পেয়েছে সেগুলো আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। বিক্রিত পণ্য স্টকে দেখান না তারা। তবু তাদেরকে জরিমানা করা হয়েছে।

এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে সাতকানিয়া স্টোরের মালিক মো. আবছার সাংবাদিকদের বলেন, আমি তো তেল বেশি দামে বিক্রি করিনি। উনারা কাগজপত্রে অনিয়ম পেয়েছে। তাই জরিমানা করেছে। কোম্পানির কাছে চাওয়া ১৩০০ কার্টন তেল থেকে আমি পেয়েছি ৬০০ কার্টন। বাকিগুলো আসবে আরও পরে। যেগুলো পেয়েছি সেগুলো বাজারে সরবরাহ করে দিয়েছি। কিন্তু ডকুমেন্ট পাইনি এখনও। এখানে কোনো অনিয়ম আমি করিনি। স্যাররা তো ডকুমেন্ট আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করতে পারবেন না।

শেয়ার করুন

আরও পড়ুন